ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সোহরাওয়ার্দী কলেজে ছাত্রলীগ নেত্রীকে মারধর, থানায় মামলা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
সোহরাওয়ার্দী কলেজে ছাত্রলীগ নেত্রীকে মারধর, থানায় মামলা অভিযুক্ত রাকিব

জবি: সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে তারই সহকর্মীকে শারীরিক হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে।  

হেনস্তাকারীর নাম রাকিবুল হাসান রাকিব।

তিনি সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক। হেনস্তার শিকার সাদিয়া খন্দকার ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী।

জানা যায়, বেশকিছু দিন ভুক্তভোগী সাদিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল- এমন মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে আসছে রাকিব। এমন তথ্যের ভিত্তিতে মেয়েটি রাকিবকে বিষয়টি জানতে চাইলে রাকিব তাকে মারধর করে।  
এ ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্রী সাদিয়া। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য।

এ বিষয়ে সাদিয়া খন্দকার বলেন, কলেজে রাজনৈতিক মাধ্যমে রাকিবের সঙ্গে পরিচয়। সে মাঝেমধ্যেই আমাকে উতক্ত করতো। আমার বিষয়ে বলে বেড়াতো তার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এইসব মিথ্যাচার প্রচারের কারণ জানতে চাইলে সে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এসময় কলেজ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীও উপস্থিত ছিল।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাকিব বলেন, তার সঙ্গে আমার কোনো ভালো সম্পর্ক ছিল না। সে ছাত্রলীগ করতো আমিও ছাত্রলীগ করি, সেই হিসাবে তার সঙ্গে আমার পরিচয়। বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সে আমাকে এসে জিজ্ঞেস করছিল- আমি নাকি তার বিষয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে বেড়াচ্ছি। একপর্যায়ে সে আমার শার্টের কলার চেপে ধরে। আমি দৌড়ে ছাত্র সংসদে চলে যাই। ঐখানেও বড় ভাইয়েরা আমাকে মারধর করে।  

এ বিষয়ে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম আশিক বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসলে আমি রাকিবকে চড়থাপ্পড় দিয়ে মেয়েটির কাছে মাফ চাইয়ে দিয়েছি। পরবর্তীতে এসব যাতে আর না শুনি সেই বিষয়ে ছেলেটিকে সতর্ক করে দিয়েছি। তারপরও যেহেতু মেয়েটি আইনের আশ্রয় নিয়েছে, আমি চাই যে দোষি তার বিচার হোক। আরেকটি বিষয় হচ্ছে মেয়েটি যে লাইভে এসে আমার নাম উল্লেখ করেছে তা মোটেও সঠিক নয়। আমি এ বিষয়ে পূর্বে কিছুই জানতাম না। তাই মেয়েটি কেনো লাইভে এসে আমার নাম উল্লেখ করেছে সেটাও পরিষ্কার করা প্রয়োজন। ঘটনার সব কিছুই কলেজের সিসি ক্যামেরায় ধারণ রয়েছে।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহসিন কবীর বলেন, ঘটনাটি আমি অবগত ছিলাম না। থানার মাধ্যমে জেনেছি। থানা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।

সূত্রাপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) বলেন, মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। আইনের মাধ্যমে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।