ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিলাসপুরে ফের সংঘর্ষে আহত ১০

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
বিলাসপুরে ফের সংঘর্ষে আহত ১০

শরীয়তপুর: এক মাস না যেতেই ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুর ইউনিয়নের দুটি পক্ষ। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

 

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিলাসপুরের বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় সজীব (২২) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারী ও গত নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল জলিল মাদবর গ্রুপের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রথম ধাপে বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মুলাই বেপারীকান্দি হয়ে বুধাইরহাট পর্যন্ত। এরপর বুধাইরহাট বাজার থেকে সাবেক এমপি বিএম মোজাম্মেল হকের বাড়ি পর্যন্ত এবং সর্বশেষে মহরখারকান্দির পাশে নদীর পাড়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়।  

এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর বাকিদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ছুঁড়ে ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।  

এদিকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সজিব (২২) নামে এক যুবককে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে পুলিশ।

এ বিষয়ে আব্দুল জলিল মাদবর বলেন, নির্বাচনের পর থেকেই আমার সমর্থকদের বাড়িতে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রশাসনের সহযোগিতায় বাড়িতে থাকলেও বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়াসহ প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবারও (১৫ ফেব্রুয়ারি) একইভাবে হামলা চালালে আমার লোকজনও জবাব দিতে বাধ্য হয়।

অপরদিকে চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারী বলেন, সকালে (১৫ ফেব্রুয়ারি) হঠাৎ করেই জলিল মাদবরের সমর্থকরা আমার বাড়ি ঘেরাও করে হামলা চালালে আমার লোকজন তাদের প্রতিহত করে এবং আমি তাৎক্ষণিক প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করি।  

এ ধরনের অপ্রীতিকর পরিবেশ তিনি চান না দাবি করে বর্তমান চেয়ারম্যান বলেন, মারামারি হলে আমার ন্যূনতম কোনো লাভ থাকলে আমি করতাম। কিন্তু আমার এতে কোনো লাভই নেই, সুতরাং কেন আমি সংঘর্ষে জড়াব।

জাজিরা থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বুধবারও (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে আমরা সংঘর্ষের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিলাসপুরে যাই এবং গুলি ও টিয়ারগ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। এ ঘটনায় একটি নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

উল্লেখ্য, বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারী জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এবং আব্দুল জলিল মাদবর জাজিরা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। যা গত বছরের (১৫ জুন) ইউপি নির্বাচনের পরে আরও বেড়ে যায়। গত ২৩ জানুয়ারি বিলাসপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।