ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

১৯ বছর দুবাই পালিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২৩
১৯ বছর দুবাই পালিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি

ফেনী: ফেনীর সোনাগাজীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিউল্যাহ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছিলেন জামশেদ আলম (৪২)। সেই সাজা থেকে বাঁচতে ১৯ বছর তিনি দুবাইতে পালিয়ে ছিলেন।

এরপরও তার শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে তাকে র‌্যাব-পুলিশের কাছে ধরা পড়েতে হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) ভোররাতে রাজধানীর আদাবর এলাকার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে মো.জামশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।  
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.খালেদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জামশেদ আলম নামে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জামশেদ উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নে চর কৃষ্ণজয় এলাকার  ফয়েজ আহাম্মদের ছেলে।

পুলিশ জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০০৪ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিউল্যাহকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সোনাগাজীর চর কৃষ্ণজয় এলাকায় মানুমিয়ার বাজারের একটি মাদরাসার ভেতরে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে জামশেদ আলমসহ ১০-১২ জন সন্ত্রাসী। এরপর তারা লাশ গুমের চেষ্টা চালায়।  

এঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে জামশেদ আলমসহ ১০-১২ জনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ জামশেদকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।  

ছয়মাস কারাভোগের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে তিনি গোপনে দুবাই চলে যান। এরপর তিনি আর আদালতে হাজির হননি। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত জামশেদসহ সব আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। ইতিমধ্যে দুজন গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে থাকলেও অন্যরা বিদেশে পলাতক রয়েছেন।  

সোনাগাজী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, ফেনীর আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাওয়ার পর থানার অনেক কর্মকর্তা আসামিদের খোঁজে মাঠে নামেন। একই সঙ্গে র‌্যাব সদস্যরাও তাদের গ্রেপ্তার করতে অনুসন্ধ্যান চালায়। কিন্তু আসামিরা বিদেশে থাকায় তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গত দেড়মাস আগে মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি জামশেদ আলম বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি প্রায়ই স্থান পরিবর্তন করে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করতেন।  

এসআই বলেন, গত কয়েকদিন আগে র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা তাকে ধরতে ছদ্মবেশে তার গ্রামের বাড়ি এবং ঢাকার সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে গিয়ে খোঁজখবর নেয়। পরে এক ব্যক্তির মাধ্যমে তার মোবাইল ফোন নম্বর ও ছবি সংগ্রহ করেন তারা। সেই নম্বরের সূত্র ধরে র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর আদাবর এলাকার একটি বাসায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫  ঘণ্টা, এপ্রিল  ৬,  ২০২৩
এসএইচডি /এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।