ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নিউ সুপার মার্কেটে আগুন, ডিএসসিসির দিকে অভিযোগের তির

 স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
নিউ সুপার মার্কেটে আগুন, ডিএসসিসির দিকে অভিযোগের তির ডিএসসিসির লোকজনের অসাবধানতায় নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লেগেছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঢাকা নিউ মার্কেট সংলগ্ন ওভারব্রিজ ভাঙতে শনিবার (১৫ এপ্রিল) ভোর ৪টায় ভাঙতে এসেছিলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) লোকজন। এসময়ই বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে- এমন দাবি করেছেন ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটের আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ব্যবসায়ীরা।

বাংলানিউজের প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে এ অভিযোগ করেন মার্কেটটির চার ব্যবসায়ী।

ওবায়দুল্লাহ রনি ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটের তরুণ ব্যবসায়ী। এ মার্কেটে তাঁর দোকান রয়েছে চারটি- ২৬২, ২৬৩, ২৪৬ ও ২৪৬(১)।  

তার দাবি, রাত ৩টা ২০ মিনিটের দিকে যখন দোকান বন্ধ করে চলে যাচ্ছিলেন তখন মার্কেটের সামনে সিটি করপোরেশনের অনেক লোক ছিল। তারা ব্রিজ ভাঙতে এসেছিলো।  

'ভোরে ফিরে এসে শুনি ব্রিজ ভাঙার বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে শর্ট সার্কিট লেগে মার্কেটে আগুন ধরে গেছে। ’ বলেন তিনি।  

নিজের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে এ ব্যবসায়ী বলেন, আমি চারটি দোকানেই শার্ট বিক্রি করি। চার দোকানে কোটি টাকার কাছাকাছি মাল ছিল। ঈদ উপলক্ষে দোকানে মাল রাখতে হয় ভরপুর। ঈদেই আয় করি বেশি, এবার তো পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলাম।  

আরেক তরুণ ব্যবসায়ী মাহবুব শেখের নিউ সুপার মার্কেটের তৃতীয় ও দ্বিতীয় তলায় রয়েছে চারটি দোকান- ২৬০, ২৬১, ২২৬, ২৮৬। তিনিও করেন শার্টের ব্যবসা।  

এক কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এ ব্যবসায়ীর বলে দাবি করেছেন।  

তিনিও মার্কেটে আগুন লাগার পেছনে আঙ্গুল তুলেছেন সিটি করপোরেশনের দিকে।

এই ব্যবসায়ী বলেন, অসাবধনতায় সিঁড়ি ভাঙতে গিয়ে শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। সিটি করপোরেশনের ভুলের জন্যে এই ঘটনা ঘটেছে। একবছর আগেও তারা ঈদের আগে ওভারব্রিজটি ভাঙার জন্যে আসছিলো। সারাবছর কষ্টে চলে, ঈদে আয় করি। এবার সব ধ্বংস হল।

এসময় সিটি করপোরেশনের কাছে ক্ষতিপূরণ চান এ ব্যবসায়ী।  

টুটুল বারই কিরণ নিউ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলার এস-১০ ও ১৩ নং দোকানের মালিক।  

তিনিও বলেন, এই ঘটনায় সিটি করপোরেশনের ভুলই দায়ী। সব শেষ হয়ে গেলো। ৩০ লাখ টাকার মালমাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।  

মো: মাসুম নামের আরেক ব্যবসায়ী ৯৬ ও ৯৭ নং দোকানের মালিক।  

তিনি বলেন, ঈদের আগেই কেন ওভারব্রিজ ভাঙতে হবে। এসময়ই আমাদের ব্যবসা হয়। সেই সময়েই এই কাজ করতে গিয়ে সব শেষ হয়ে গেল।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছেরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তার সেলফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩   
এনবি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।