ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নৌ-যানের প্রথম শ্রেণির মাস্টার শিপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৭১

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪১ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩
নৌ-যানের প্রথম শ্রেণির মাস্টার শিপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৭১

ঢাকা: অভ্যন্তরীণ নৌ-যানের প্রথম শ্রেণির মাস্টার শিপ পরীক্ষায় মোট ৭১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। সোমবার (২৯ মে) রাজধানীর মতিঝিলের গাউছে পাক ভবনে অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষা শেষে দুপুরে তাদের চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, রোববার (২৮ মে) সকালে একই ভবনে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় ২৭৬ জন প্রার্থী অংশ নেন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ ১৪৪ জনের আজ মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ৭১ জনকে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ঘোষণা করেন।

অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ মে) গাউছে পাক ভবনে দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার শিপের শুধু মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই শ্রেণির লিখিত পরীক্ষা আগেই নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বুধবার (৩১ মে) একই স্থানে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় শ্রেণির মাস্টারশিপের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা।

উল্লেখ্য, দেশের অভ্যন্তরে সব ধরনের নৌ-যান পরিচালনায় মাস্টার (সারেং) ও ড্রাইভারের (ইঞ্জিনচালক) যোগ্যতা নির্ধারণের জন্য প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির মাস্টার শিপ ও ড্রাইভার শিপ পরীক্ষা নেওয়া হয়। এজন্য নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলাদা আলাদা বোর্ড গঠন করেন।

মাস্টার শিপ পরীক্ষা বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন- অধিদপ্তরের চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার (চলতি দায়িত্বে) ক্যাপ্টেন মো. গিয়াসউদ্দিন আহমদ। আর ড্রাইভারশিপ পরীক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে একই সংস্থার ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মনজুরুল কবিরকে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের অধীনে গঠিত আলাদা দুটি বোর্ডের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে তিন শ্রেণির মাস্টার শিপ ও ড্রাইভারশিপ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সারা বছরই নেওয়া হয় এ পরীক্ষা। মাত্র বিশ নম্বরের প্রশ্নপত্রে ২০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের মধ্যে দশটির সঠিক উত্তর (টিক চিহ্ন) দিতে পারলেই পরীক্ষা বোর্ড তাকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করে। এরপর নেওয়া হয় ১০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা। সেখানে পাশ নম্বর ধরা হয়েছে সর্বনিম্ন ৫ বা মোট নম্বরের ৫০ শতাংশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, একজন প্রার্থী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা মিলিয়ে সর্বনিম্ন ১৫ নম্বর পেলেই তাকে পরীক্ষা বোর্ড উত্তীর্ণ ঘোষণা এবং অধিদপ্তর সনদ প্রদান করে। তবে অধিদপ্তরের সর্বশেষ অফিস আদেশ অনুযায়ী, একজন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও তিনি যদি শুধু লিখিত পরীক্ষায় ১৫ নম্বর পান তাকেও উত্তীর্ণ ঘোষণা করতে পারে পরীক্ষা বোর্ড। এমন বিতর্কিত আদেশের ফলে মৌখিক পরীক্ষাকে গুরুত্বহীন করা হয়েছে বলে নৌ-খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩
টিএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।