ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রূপগঞ্জে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে দুইজনের যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৪ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
রূপগঞ্জে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে দুইজনের যাবজ্জীবন

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নূর বানু (৬০) নামে এক  গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

তবে এই রায় আশানুরূপ হয়নি উল্লেখ করে উচ্চ আদালতে আপীল করবেন বলে জানান নিহতের স্বজনরা।

নিহতের ছেলে ইলিয়াস মিয়া জানান, রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার গন্ধর্বপুর গ্রামের নূর বানুর প্রায় দুই শতাংশ জমি দখল করে রাখে প্রতিবেশী দুই ভাই জাহাঙ্গীর ও রুবেল। এ নিয়ে গ্রামে বেশ কয়েকবার বিচার সালিশ হলেও অভিযুক্তরা তা না মানায় এর কোনো সমাধান হয়নি। তবে বিচার সালিশের কারণে প্রায় সময় নূর বানুকে স্বপরিবারে হত্যার হুমকিও দিয়েছে তারা।  

পরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৩০ জুন নূর বানুকে করাত দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে অভিযুক্ত দুই ভাই ও তাদের সহযোগীরা।

এ ঘটনার পরদিন ১ জুলাই নিহতের ছেলে ইলিয়াস মিয়া বাদী হয়ে জাহাঙ্গীরের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করলে জামিনে থাকা অবস্থায় মূল আসামি জাহাঙ্গীরের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে অপর দুইজনকে আসামি করে ২০২২ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামিদের মধ্যে কামরুজ্জামান কামু হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দেন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, এই মামলায় আসামিদের মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালত এই মামলায় ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে এই রায় দিয়েছেন।

তবে এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।  

নিহত নূর বানুর মেয়ে সেলিনা আক্তার বলেন, আমার মাকে নির্মমভাবে করাত দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে। আসামিরা স্বীকারও করেছে। তবে কেন এই সাজা হলো। আমরা আশা করছিলাম ফাঁসি হবে। কিন্তু আমরা ন্যায় বিচার পাইলাম না।

মামলার বাদী ও নিহতের ছেলে ইলয়াস মিয়া বলেন, যেহেতু সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও জবাবনবন্দিতে আসামিরা দোষী প্রমানিত হয়েছে, তাই আমরা আশা করেছিলেন তাদের ফাঁসির রায় হবে। তবে এই রায়ে আমরা হতাশ। ন্যায়বিচার পেতে আমরা হাইকোর্টে আপিল করব।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
এমআরপি/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।