ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ওয়ারীতে রাস্তা খোঁড়ার সময় গ্যাস লাইন লিকেজ: দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
ওয়ারীতে রাস্তা খোঁড়ার সময় গ্যাস লাইন লিকেজ: দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

ঢাকা: রাজধানীর ওয়ারীর টিপু সুলতান রোডে রাস্তার গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে আগুনে ৫ জন দগ্ধের ঘটনায় ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন ডিপিডিসির সাইট ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার হোসেন (২১)। মঙ্গলবার (২০ জুন) সকাল ১০টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, আনোয়ারের শ্বাসনালীসহ শরীরের ২২ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর আগে এই ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ জুন মারা যান ডিপিডিসির শ্রমিক সোহেল (৩৫)।

ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার হোসেনের  বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার রামপুর গ্রামে। বাবার নাম নুরুল ইসলাম।

গত ৬ জুন দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে টিপু সুলতান রোডের পুরাতন থানা ভবনের পাশে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই দগ্ধ ৫ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পর দগ্ধ মো. মামুন হাসপাতালে জানান, টিপু সুলতান রোডে পুরাতন থানা ভবনের পাশে তাদের প্রতিষ্ঠানের নির্মাণাধীন ভবন। যে দিন ঘটনাটি ঘটে তার দুই সপ্তাহ আগে থেকে ওই সড়কটিতে খনন করে ডিপিডিসির মেরামত কাজ চলছিল। ওইদিন রাতে তাদের প্রতিষ্ঠানের নির্মাণাধীন ভবনের ঠিক সামনে কাজ করছিল ডিপিডিসির লোকজন।

সারারাত তিনি এবং তার প্রতিষ্ঠানের দুই নিরাপত্তা কর্মী সেই কাজ তদারকি করছিলেন যাতে তাদের ভবনের কোনো লাইন বিচ্ছিন্ন না হয়ে যায়। রাত সোয়া দুইটার দিকে হঠাৎ তাদের এসকেভেটর মেশিন দিয়ে রাস্তা খননের সময় গ্যাস লাইন লিক হয়ে যায়। সেখান থেকে প্রচণ্ড বেগে গ্যাস বের হতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে ডিপিডিসির কর্মীরা তিতাসকে বিষয়টি জানায়।

তিনি আরও জানান, লিকেজের কিছুক্ষণ পর তারা সেই জায়গা থেকে একটু দূরে সরে বসেছিলেন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর হঠাৎই সেখানে আগুন জ্বলে ওঠে এবং মুহূর্তেই তাদের শরীর ঝলসে যায়।

এতে দগ্ধ হন ডিপিডিসির সাইট ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার হোসেন (২১), শ্রমিক মো. সোহেল (৩৫)। মামুন রিয়েল এস্টেট নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শক মো. মামুন (৪৭), নিরাপত্তাকর্মী হেলাল (৪০) ও আ. রশিদ (৬৫)।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানান, আনোয়ারের ২২ শতাংশ, সোহেলের শরীরের ৮০ শতাংশ, মামুনের ১২, হেলালের ১০ ও আ. রশিদের ৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক দিনমনি শর্মা ঘটনার দিন জানান, রাস্তা খুঁড়ে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) কাজ করছিল ওই স্থানে। সেখানে থাকা গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
এজেডএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।