ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পার্বত্য তিন জেলায় যেতে চায় ইইউ প্রতিনিধিদল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৩
পার্বত্য তিন জেলায় যেতে চায় ইইউ প্রতিনিধিদল

ঢাকা: বাংলাদেশে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলটি সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের রুটিন দায়িত্ব পালনকারী মো. আমিনুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেছে।

সোমবার (১০ জুলাই) বেলা দেড়টার দিকে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল পার্বত্য তিন জেলায় যেতে চান, তারা সেখানকার প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করতে চান। এ ব্যাপারে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চেয়েছেন তারা। সেখানে গেলে মন্ত্রণালয় প্রশাসনিক সব ধরনের সহায়তা তাদের দেবে।

তবে নির্বাচনের আগে পার্বত্য তিন জেলায় যাওয়ার ব্যাপারটি দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বলে জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আমিনুল ইসলাম।

সচিব বলেন, প্রতিনিধিদলের আরেকজন জানতে চাচ্ছিলেন, ২০০৮ সালে তারা যখন এসেছিলেন তখন ব্যাপক সহযোগিতা পেয়েছিলেন, এবারও পাবেন কিনা। আমরা বলেছি, ২০০৮ সালের চেয়েও ভালো এনজয় করবেন। কারণ, ২০০৮ সালে যোগাযোগ ব্যবস্থা ততটা মসৃণ ছিল না। সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, এটা যেহেতু নির্বাচন কেন্দ্রিক, এটি নির্বাচন কমিশন দেখবে। এটার সঙ্গে আমরা সম্পৃক্ত না।

আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, তারা নির্বাচনের আগে ৬ সপ্তাহ পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা পর্যবেক্ষণে রাখতে চান। তারা নির্বাচনের সময়ে আসবেন। আমরা বলেছি, সেটি নির্বান কমিশন দেখবে। আর আমাদের দিক থেকে অনুরোধ করেছি, এটা যেহেতু বিশেষ তিনটি জেলা, সেখানে কিছু নিরাপত্তার ইস্যু আছে। যদিও এখন আগের চেয়ে (পরিস্থিতি) অনেক ভালো। আমরা তাদের ব্র্রিফ করেছি তিনটি জেলার ২৬টি উপজেলা, ১২২টি ইউনিয়ন এবং প্রশাসনিক বিষয়ে। তারা খুবই সন্তুষ্ট, আমরাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উত্তরীয় এবং স্যুভেনির দিয়েছি।

সচিব জানান, সরকারের আমন্ত্রণে তারা এসেছে, নির্বাচন বিষয়ে পর্যবেক্ষক হিসাবে এসেছে, এটিই তাদের উদ্দেশ্য। আমরা বলেছি, এটা যেহেতু তাদের নির্বাচন কেন্দ্রিক ভিজিট, নির্বাচন কমিশন নির্ধারণ করে দেবে। এটি আমাদের পার্ট না। তারা কবে ভিজিট করবে, সেটি জানাননি। আমরা বলেছি, তারা আমাদের মেহমান, সব ধরনের প্রশাসনিক সহযোগিতা আমরা করব। সেখানে তারা কী করবে, না করবে সেটি দেখবে নির্বাচন কমিশন। আমরা তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছি, এখানে স্থানীয় প্রশাসন আছে। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে, সেনাবাহিনী আছে, সুতরাং তারা যাতে নিরাপত্তার ইস্যুটি মাথায় রাখে সেটি বলেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৩
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।