ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাঁক কাঁধে ঢাকার রাস্তায় আজও ফেরি করেন দইওয়ালারা

স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩
বাঁক কাঁধে ঢাকার রাস্তায় আজও ফেরি করেন দইওয়ালারা

ঢাকা: বগুড়ার দইয়ের সুনাম দেশজুড়ে। দেশের বিভিন্ন জেলার মধ্যে বগুড়াকে দইয়ের শহর বলা হয়।

  শুধু দইকে কেন্দ্র করেই এ জেলা পেয়েছে ভিন্ন পরিচিতি। স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় বগুড়ার দইয়ের জনপ্রিয়তা যুগ যুগ ধরে অটুট রয়েছে।

দীর্ঘ দিন যাবৎ রাজধানীবাসীকে বগুড়ার এই খাঁটি দইয়ের সাধ নেয়ার সুযোগ করে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছেন একদল ভাসমান দইওয়ালারা। বাঁক কাঁধে ঢাকা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় আজও দেখা মেলে এসব দইওয়ালাদের। তারা বাঁক কাঁধে দইয়ের ঝুড়ি নিয়ে অলিগলি ঘুরে বেড়ান। তাদের ডাক শুনে অনেকেই দাঁড়িয়ে দই কিনে নেন।

এসকল দইওয়ালাদের দাবি, তারা বগুড়ার দইয়ের প্রকৃত স্বাদ ঢাকাবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে চান। এমনই একজন বগুড়া জেলার সোনতলা থানার আশুনিয়াটার গ্রামের বাসিন্দা দই বিক্রেতা আব্দুল জলিল।  

তিনি জানান, মূলত কৃষি কাজ করে কোনরকম ভাবে চলে আব্দুল জলিলের সংসার। তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ছয় জন। কৃষি কাজ করে পরিবারের অন্য জোগাড় করতে অনেক কষ্ট হয় তার। তাই কৃষিকাজের পাশাপাশি দই বিক্রি করেন। কৃষি কাজ করে যা উপার্জন করেন তা দিয়ে কোনমতে সংসার চলে। তাই কৃষি কাজের পাশাপাশি দই বিক্রি করাও তার আরেকটি কাজ।

আব্দুল জলিল বাংলানিউজকে বলেন, আমি বগুড়া থেকে দই তৈরি (মাটির পাত্রে)করে রাজধানীতে নিয়ে আসি দই বিক্রি করার জন্য। রাজধানীসহ রাজধানী আশেপাশে এলাকাগুলোতে ঘুরে ঘুরে দই বিক্রি করি। শহরের কোন এক ছোট হোটেল বা ম্যাসে বাসা ভাড়া করে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দই বিক্রি করি ।

আব্দুল জলিল আরো বলেন, আমি বগুড়া থেকে ১২০ কেজি দুধ দিয়ে মোট ১৪০টি পাত্র করে ঢাকায় নিয়ে আসি। এগুলো বিক্রি করলে আমার দুই দিনে ১৫০০ থেকে দুই হাজার টাকা লাভ হবে। এভাবেই মাসে কয়েকবার বগুড়া থেকে দই নিয়ে আসি এবং ঢাকায় বিক্রি করি। দই বিক্রি করে যা লাভ হয় তা দিয়ে এখন ভালোভাবেই সংসার চালাচ্ছি। আমার মত আরো কয়েকজন ঢাকায় দই বিক্রি করে আমরা একসাথে রুম ভাড়া করে থাকি এজন্য রুম খরচও কম হয়।

জলিলের মতো আরেকজন দই ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম জানায়, আমরা বড় পাতিল এর দই বিক্রি করি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা এবং ছোট বাটিতে দই বিক্রি করি ৩০ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩
এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।