ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অবরোধে নাকাল নীলফামারীর পরিবহন মালিক-কর্মচারীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৩
অবরোধে নাকাল নীলফামারীর পরিবহন মালিক-কর্মচারীরা

নীলফামারী: বিএনপি ও সমমনা দলের বর্তমান সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে চতুর্থ দফায় ফের ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের ডাক দিয়েছে। অবরোধে নাকাল হয়ে পড়েছে নীলফামারীর বাস মালিক সমিতির শ্রমিক-কর্মচারী।

 

সোমবার (১৩ নভেম্বর) নীলফামারীতে দূরপাল্লার কোনো যাত্রীবাহী বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি।  

শহরের কেন্দ্রীয় কালিতলা বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, প্রধান সড়কের দুইধারে ট্রাকগুলো দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে স্থানীয় কিছু যান চলাচল করতে দেখা গেছে। শহরে বিএনপি অফিসসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ট্রাকচালক রমজান আলী ও সুপারভাইজার কাওসার আলী জানান, হরতাল, অবরোধে অগ্নিসন্ত্রাস ও দুর্ঘটনার ভয়ে কেউ রাস্তায় নামছে না।  

জেলা শহরের তয়েজ এন্টারপ্রাইজের টিকিট মাস্টার মাসুদ আলী অভিযোগ করে জানান, যানবাহন বন্ধ থাকায় আমাদের মতো শ্রমিক কর্মচারীদের আর্থিক সংকটের মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ যাত্রীসহ আমরা যারা এই পেশায় কর্ম করে জীবনযাপন করি তাদের। একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, এই অবস্থা চলতে থাকলে পরিবার পরিজন নিয়ে উপোস থাকতে হবে।

কাপড় ব্যবসায়ী ও দর্জি মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমি ব্যবসায়িক কাজে সৈয়দপুরে যাব কিন্তু টার্মিনালে গিয়ে দেখি বাসগুলো সাজিয়ে রেখেছে মালিকপক্ষ। ব্যবসা না করলে খাব কি? দোকানে কাপড়ের সংকট। সৈয়দপুর যেতে না পেরে বাসায় ফিরে আসলাম। ভাই আমরাতো রাজনীতি করি না। আমাদের কেন এ অবস্থা হবে।

তোহা ক্লাসিক বাসের টিকিট মাস্টার রেজবি রহমান জানান, অবরোধে কখন, কোথায় কি হয় এই ভয়ে দূর পাল্লার যাত্রীরা কাউন্টারে আসছেন না। অপরদিকে, কাউন্টারে অলস সময় পার করতে হচ্ছে আমাদের। মালিকের পাঁচটি গাড়ির প্রায় ৪০ জন কর্মচারী বসে আছে কোনো কাজ নাই। আমরা খাবো কী, সংসার চালাবো কী করে? বুঝতে পারছি না।

নীলফামারী কালিতলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের প্রত্যেকটি কাউন্টার বন্ধ দেখা গেছে। মুঠোফোনে ‘তোহা ক্লাসিকের’ মালিক আবু তাহের জানান, আমার পাঁচটি গাড়ির প্রায় ৪০ জন লোক অলস সময় পার করছে। এভাবে দিনের পর দিন গাড়ি বন্ধ থাকলে ব্যবসায় লালবাতি জ্বলবে।

নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার গোলাম সবুর জানান, জেলার ছয় উপজেলায় পুলিশ, আনসার, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।  

বাংলাদেশ সময়: ২৯৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।