ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: সোনাগাজীতে প্রস্তুত অর্ধশত আশ্রয়কেন্দ্র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৩
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: সোনাগাজীতে প্রস্তুত অর্ধশত আশ্রয়কেন্দ্র

ফেনী: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবিলায় ফেনীর সোনাগাজীতে অর্ধশত আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখাসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে উপকূলীয় চারটি ইউনিয়নসহ উপজেলার সর্বত্র জনগণকে সতর্কতা জানিয়ে সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকিং করছেন।

এ ছাড়া দুপুর ও বিকেলে উপজেলার সবকয়টি মসজিদের মাইকেও ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা নিয়ে প্রচারণা চালানো হয়।  

দুর্যোগকালীন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরতদের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, চিড়া, গুড়, মুড়ি, বিস্কুট, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করাসহ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। মিধিলির প্রভাবে গত বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে দমকা হাওয়া ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে।  

দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি রোধে রাতের মধ্যে চারটি ইউনিয়নের উপকূলীয় বাসিন্দাদের জরুরিভাবে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসারও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।  

উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব চর চান্দিয়া এলাকার সিপিপির দলনেতা নুর নবী বলেন, সকালে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত শোনার আগে থেকে তারা এলাকায় মাইকিং করে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলছেন।  

এ ছাড়া গবাদিপশুগুলোকেও নিরাপদে সরিয়ে নিতে তারা প্রচারণা চালাচ্ছেন। পূর্ব চর চান্দিয়া এলাকার কৃষক আবুল কাশেম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দমকা হাওয়া ও মাঝারি বৃষ্টিতে তার ১০ শতক জমির ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে।  

চর চান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা পেয়ে তিনি ইউপির সব সদস্য ও সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে সভা করে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে কাজ করছেন।  

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগ মোকাবিলায় এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনাসহ জনগণকে সতর্ক করার লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক মাইকিং করা হচ্ছে।  

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবিলায় সোনাগাজীতে অর্ধশত আশ্রয়কেন্দ্রসহ উপজেলার সবকয়টি বিদ্যালয়কে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলায় একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে এবং ১৪টি চিকিৎসক দল, জনপ্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও ভিডিপি এবং গ্রাম পুলিশের সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন।  

দুর্যোগকালীন উদ্ধার তৎপরতাসহ বিভিন্ন কাজের জন্য সিপিপির দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ আড়াই হাজার কর্মী মাঠে থেকে কাজ করছেন।  

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) সহকারী পরিচালক মুনীর চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে উপজেলার সর্বত্র সিপিপির সদস্যরা কাজ করছেন। প্রতিটি এলাকায় সিপিপির সদস্যদের সহায়তায় জনগণকে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে সতর্ক করে জানমাল ও গবাদিপশু নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আসায় উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা অনেকে আতঙ্কে রয়েছেন। এ ছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদের দুর্যোগকালীন নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৩
এসএইচডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।