ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নড়িয়ায় নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
নড়িয়ায় নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ 

শরীয়তপুর: শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম এনামুল হক শামীমের সমর্থক ও নড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান বিপ্লবের ওপর স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলীর নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নড়িয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাইকপাড়া আওয়ামী লীগের অফিসে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় নড়িয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান ও ছাত্রলীগ কর্মী হৃদয় আহত হয়েছেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

প্রত্যক্ষদর্শী নড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জানান, সোমবার বিকেলে নড়িয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাইকপাড়া আওয়ামী লীগের অফিসে বসে নৌকা মার্কার প্রচারণার বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলীর নেতৃত্বে হারুন, আশিক, সাহিন, রবিন আলামিন, সুজন, আমাদের অফিসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে অফিসে থাকা নৌকা ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে।  হামলায় নড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান বিপ্লব, নড়িয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান ও ছাত্রলীগ কর্মী হৃদয় আহত হয়।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এনামুল হক শামীম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে আহতদের খোঁজখবর নেন।

এ ব্যাপারে নৌকার প্রার্থী এনামুল হক শামীম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলী বিএনপির মদদে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচন করছে। সে ও তার সমর্থকরা আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে নড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান বিপ্লব, নড়িয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান ও ছাত্রলীগ কর্মী হৃদয় আহত হয়। আমাদের অফিস ভাঙচুর করেছে। আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব।  

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলী বলেন, আমি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে আমার সমর্থকদের নিয়ে ওই এলাকা দিয়ে আসছিলাম। এসময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান বিপ্লবসহ ৩০ থেকে ৩৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার গতিরোধ করে। এসময় তারা আমার সমর্থক হারুন খলিফাকে মারধর করে। পরে আমার লোকজনসহ এলাকাবাসী বিপ্লবকে ধাওয়া করে। তবে কোনো ক্লাব ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি।

এ ব্যাপারে  নড়িয়া থানার ভারপ্রাপাত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এসময় আহত হয়েছে ৩ জন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩

আরএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।