ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিনন্দন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
শেখ হাসিনাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি

ঢাকা: টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব এবং সহযোগিতাকে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি তাকে অভিনন্দন জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী উপ-প্রেস সচিব মো. নুরএলাহি মিনা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

নুরএলাহি মিনা জানান, টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশীদারত্ব এবং সহযোগিতাকে নতুন উচ্চতা নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

চার্লস হোয়াইটলিকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব বলেন, গ্লোবাল গেটওয়ে সুবিধার আওতায় পরিবেশ, সুশাসন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে বর্তমানে বাংলাদেশ যেসব সুবিধা পাচ্ছে, তা আগামী দিনে আরও বাড়ানো হবে।

নুরএলাহি মিনা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্প্রতি বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম সামিটের সময় বাংলাদেশকে ৪০৭ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছে।

ইবিএ (অস্ত্র ছাড়া সবকিছু) সুবিধার আওতায় বাংলাদেশকে দেওয়া সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেওয়ারও অঙ্গীকার করেন।

প্রতিবন্ধী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত।

গত ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যকার এই সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় যাবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।  

ইবিএ (অস্ত্র ছাড়া সবকিছু)-এর আওতায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখায় ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ধন্যবাদ দেন এবং গ্লোবাল গেটওয়ে কর্মসূচির আওতায় নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন সেক্টরে আরও সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।