ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদে যাওয়ার প্রস্তুতি নাও: শিশুদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২১ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৪
চাঁদে যাওয়ার প্রস্তুতি নাও: শিশুদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে টুঙ্গিপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শন করেন। ছবি: পিএমও

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ): জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণার মাধ্যমে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে শিশুদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরাও (বাংলাদেশ) একদিন চাঁদে যাবো।

শনিবার (৬ জুলাই) গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন এবং ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি’ অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচনকালে তিনি এ কথা বলেন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা একদিন চাঁদে যাব। কাজেই সেজন্য এখন থেকেই সেভাবে তোমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার ছোট্ট সোনামনি তোমাদের জন্য দোয়া ও আশীর্বাদ রইল। তোমরা লেখাপড়া শিখে বড় হও। কারণ যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো তোমরাই হবে তার স্মার্ট নাগরিক, যারা দেশ চালাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমাদের মাঝ থেকেই বের হয়ে আসবে আমার মতো প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী। তোমরা বড় বড় জায়গায় যাবে গবেষণা করবে, বিজ্ঞানী হবে। আর আমরা একসময় চাঁদেও যাব, কোনো চিন্তা নেই। কাজেই সবাইকে এখন থেকে সেভাবে প্রস্ততি নিতে হবে, পড়াশোনা করতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর উদারতা ও মানবিকতার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোটবেলা থেকেই মানুষের জন্য আলাদা একটা দরদ ছিল। অন্নহীন, ছিন্ন কাপড় পরিহিত মানুষ, থাকার জায়গা নেই, এই জিনিসগুলো তাকে খুব ব্যথিত করতো। সেজন্য ছোটবেলা থেকেই তিনি মানুষের জন্য কাজ করতেন।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজের জীবনের কোনো সুখ, সুবিধা কিছুই দেখেননি। শুধু একটাই চিন্তা ছিল এদেশের মানুষকে কীভাবে দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তি দেবেন, কীভাবে একটা উন্নত জীবন দেবেন এবং ছোট্ট শিশুরা যাতে একটা সুন্দর জীবন পেতে পারে সেটাই তার লক্ষ্য ছিল।

‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি’ অ্যালবামের প্রশংসা করে সরকারপ্রধান বলেন, আজকে যে উদ্যোগটা এখানে নেওয়া হয়েছে অথবা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যেসব শিশু, তাদের আঁকা ছবি দিয়ে অ্যালবাম করা বা ছবির মাধ্যমে ইতিহাসকে যে তুলে ধরা- আসলে ছবি তো কথা বলে এবং এর মাধ্যমে শিশুদের ইতিহাস জানার সুযোগ হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী এই উদ্যোগের জন্য শিক্ষক, প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ দেন।  

উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মুজিব কর্নার ঘুরে দেখেন এবং তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন ও ছবি তোলেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেট পরিদর্শন করেন।

এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।

শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আসেন।

শনিবার বিকেলে ঢাকায় ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২৪
এমইউএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।