ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পানগুছি নদীর জোয়ারে নিমজ্জিত ফেরিঘাট, ভোগান্তি চরমে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৪
পানগুছি নদীর জোয়ারে নিমজ্জিত ফেরিঘাট, ভোগান্তি চরমে

বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ফলে ফেরি পারাপারে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরের জোয়ারে পানগুছি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেরির পূর্ব পাশের পল্টুনের সংযোগ সড়কটি ডুবে যায়।  

জানা যায়, দুই ঘণ্টার বেশি সময় পানিতে নিমজ্জিত থাকে সড়কটি। এর আগে রাত ১টার দিকে জোয়ারে একইভাবে ডুবে যায়। গত চারদিন ধরে প্রতি জোয়ারে ডুবছে ফেরির সংযোগ সড়ক। এতে যাত্রী ও যানবাহন চাকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। অতিদ্রুত সংযোগ সড়কটি উঁচু করে ভোগান্তির নিরসন করার দাবি জানিয়েছেন যানবাহন চালক ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

ইউনুস শেখ নামের এক পিকআপভ্যান চালক বলেন, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলেই ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক ডুবে যায়। ফেরিতে উঠতে গিয়ে আমাদের অনেক সমস্যা হয়। লবণ পানিতে গাড়ির ইঞ্জিন ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ক্ষতি হচ্ছে।

বুলু নামের এক ব্যক্তি বলেন, গত চারদিন ধরে প্রতি জোয়ারে দুই তিন ঘণ্টা ধরে পানিতে নিমজ্জিত থাকছে সড়কটি। ফেরি পারাপারে আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় পানিতে ভিজে যেতে হয়। আর খানাখন্দের মধ্যেও পড়তে হয় আমাদের। অতিদ্রুত এটা ঠিক করা দরকার।

আবু রাজ্জাক নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলেই পানিতে ডুবে যায় ফেরির সংযোগ সড়ক। আসলে এর একটা স্থায়ী সমাধান দরকার। আর কতদিন মানুষ ভুগবে। যেভাবে হোক ফেরি চলাচল, ফেরিতে মানুষ ওঠানামা ও যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে হবে।

সড়ক বিভাগ বলছে, নদীতে সব সময় একই পরিমাণের পানি থাকে না, কখনও অনেক বেশি, আবার কখনও অনেক কম পানি থাকে। যার কারণে ও সংযোগ সড়ক বেশি উঁচু করা যায় না।

সড়ক বিভাগের বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, জোয়ারের পানির বিষয়টি মাথায় রেখে সংযোগ সড়ক যদি অনেক উঁচু করা হয়, তাহলে ভাটার সময় পল্টুনে যানবাহন ও পথচারীদের ওঠানামায় সমস্যা সৃষ্টি হবে। জোয়ার ও ভাটা দুটি বিষয় মাথায় রেখে সংযোগ সড়ক ও পল্টুন করতে হয়। জোয়ার ও ভাটার কারিগরি বিষয় মাথায় রেখে সংযোগ সড়কের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, পূর্ণিমায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে যে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।