ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পুলিশ হোক বা অন্য যেই হোক, দোষীর বিচার হতেই হবে: সারজিস আলম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪
পুলিশ হোক বা অন্য যেই হোক, দোষীর বিচার হতেই হবে: সারজিস আলম

মানিকগঞ্জ: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যেসব সদস্য সরাসরি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং যাদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ আছে, প্রচলিত আইনের মাধ্যমে তাদের বিচার হতে হবে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা শিল্প অ্যাকাডেমির সম্মেলন কক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের  পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, কেউ একজন অতি উৎসাহী হয়ে আবার ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে নিজেকে তুলে ধরার জন্য অন্যায়ভাবে নির্দেশ পালন করছে। এ কাজগুলা যারা করছে, তাদের বিচার হতে হবে, সে যদি অন্যায়কারী হয়, সে যদি পুলিশ হয়, তার বিচার হতে হবে।  

কেন্দ্রীয় এ সমন্বয়ক বলেন, পুলিশের যদি বিচার না হয়, রাষ্ট্রের অন্য একজন নাগরিকের বিচার করার বিষয় প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এখানে যে দুটি নাম আসছে, পুলিশের হোক বা অন্য যেই হোক, যে দোষী, তার বিচার হতে হবে।

মিডিয়া কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ কথাগুলা দেবেন, কোনো চাপ এলে আপনারা পাশে থাকবেন এবং আমরা পাশে আছি। এ কালপ্রিটগুলো যেভাবে দেশে একটা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তারা যদি পরে কোনোভাবে আপনাদের চাপে রাখে, তবে মনে রাখবেন- এর শিকার কোনো না কোনো দিন তাদের হতে হবে।

সারজিস আলম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সব সময় আপনাদের পাশে আছে এবং আমরা শতভাগ একমত। এসব কালপ্রিটদের বিচার হতে হবে। পরে তারা কোনোভাবে আমার ভাই-বোনদের হুমকি তো দূরের কথা, বিন্দুমাত্র কথা বলারও যদি সাহস দেখায়, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

একটি বিষয় লক্ষ্য রাখবেন, আমাদের শহীদদের পরিবারের যে ভাইয়েরা আছেন, তাদের ব্যবহার করে অনেকে মামলা দিচ্ছে, যেখানে কিছু নির্দোষ মানুষের নাম ঢুকিয়ে দিচ্ছে এবং হয়রানি করছে। কেউ কেউ এসব মামলায় নাম দেওয়া, নাম কাটা নিয়ে ব্যবসা করছে। এভাবে যেন কেউ শহীদদের নামের অপব্যবহার না করতে পারে, সাবধান করেন সারজিস।  

শহীদদের স্বজন ও আহতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের যেভাবে আমরা সম্মান দিয়েছি, ঠিক একইভাবে ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের একেক জনও কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা। সেজন্য তাদের স্বীকৃতি দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আমরা প্রতিটি জেলায় যাচ্ছি, আমাদের মেইন উদ্দেশ্য হলো-এ আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছে তাদের সঙ্গে কথা বলা, যারা নিজেদের জীবন দিয়েছেন, তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলা। আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নিচ্ছি। আমাদের অনেক ভাই ঋণ নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাদের নিয়ে কী করতে পারি, সেজন্য আমাদের আসা।

এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবদুল্লাহ সালেহীন অয়ন, কাজী ইসমাইল হোসেন রুদ্র, সামিয়া মাসুদ মুমু, মুবাশ্বিরুজ্জামান হাসান মৃধা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মেহরাব হোসেন সিফাত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মো. হৃদয় হোসেন, নিউ ক্যাসল আইন অ্যাকাডেমির আদিনা খান, ঢাকা কলেজের খন্দকার রায়হা, (ঢাবি), এআইইউবির কাজী জুবায়েরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।  

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সকালে মতবিনিময় সভা করেন সারজিসসহ কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা।  

দুপুরে আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তারা। বিকেলে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।