ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নিখোঁজের ২ দিন পর ধানক্ষেতে মিলল শিশুর মরদেহ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪
নিখোঁজের ২ দিন পর ধানক্ষেতে মিলল শিশুর মরদেহ 

রাজবাড়ী: রাজবাড়ীতে নিখোঁজের দুইদিন পর মিনহাজুল শেখ (১২) নামে এক শিশুর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, মিনহাজুলকে হত্যা করে মরদেহ ধানক্ষেতে ফেলে রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের পূর্ব ভবদিয়া গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ওই গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় মিনহাজুল।

মিনহাজুল ওই গ্রামের আজাদ শেখের ছেলে।

মিনহাজুলের মা খাজিজা বেগম বলেন, গত রোববার বিকেল ৪টার দিকে মিনহাজুল খেলতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে তার বন্ধু সুমনের কাছে বলে স্থানীয় মোক্তার শেখের মাল্টার বাগানে যায়। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিল। আমরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাইনি। মাল্টা বাগানে খোঁজার জন্য মোক্তার শেখের কাছে বার বার বাগানের গেটের চাবি চাইলেও তারা দেয়নি। পরে এ ঘটনায় সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আমরা রাজবাড়ী সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। পরে আজ সকাল ৮টার দিকে মোক্তার শেখের মাল্টা বাগানের পাশে একটি ধান ক্ষেতে আমার ছেলের মরদেহ পাওয়া যায়।  

তিনি আরও বলেন, মোক্তার শেখের মাল্টা বাগানে ঢুকে ফল খাওয়ার কারণে আমার ছেলেকে কারেন্টের শক দিয়ে হত্যার পর জিহ্বা কেটে দিয়েছে। তার হাত-পা কেটে মরদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধানক্ষেতে ফেলে রেখেছে।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, মোক্তার শেখ তার মাল্টা বাগানের চারপাশে জিআই তার দিয়ে ঘিরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রাখতেন। হয়তো মাল্টা বাগানে ঢোকার সময় মিনহাজুল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। পরে বাগানের মালিক মরদেহটি গুম করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ধানক্ষেতে ফেলে রাখে। তার হাত-পায়ের কিছু অংশ শেয়ালে খেয়ে ফেলেছে।

এদিকে মিনহাজুলের মরদেহ পাওয়ার পর থেকেই এলাকা থেকে গাঢাকা দিয়েছেন মাল্টা বাগানের মালিক মোক্তার শেখ। তার ভাই সরোয়ার শেখ বলেন, আমার ভাই বাড়িতে নেই। মাল্টা বাগানের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সেখানে কি ঘটেছে আমি তা বলতে পারছিনা। তবে ছেলেটির মর্মান্তিক মৃত্যুতে আমি শোকাহত।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মুকিত সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছেলেটির মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।