ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মানিকগঞ্জে জহুরা হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৪
মানিকগঞ্জে জহুরা হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

মানিকগঞ্জ: তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চাঞ্চল্যকর জহুরা হত্যা মামলার মূল আসামি সালামকে (৫০) আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৪)।

সোমবার (৭ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিপিসি-৩, র‌্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন।

 

আটক সালাম হোসেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকার কিতাব আলীর ছেলে।  

র‌্যাব-৪ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, প্রায় ৯ বছর পূর্বে ভিকটিম জহুরা বেগম (৪৭) পারিবারিক ও আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে স্বামী নান্নু মিয়ার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে ভিকটিম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিভিন্ন চায়ের দোকান ও হোটেলে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। ভিকটিম জহুরা বেগম সবজি ক্রয় করতে গিয়ে ছালামের সঙ্গে পরিচয় হয়।

পরিচয়ের একপর্যায়ে তারা উভয়ের মধ্যে মোবাইল নম্বর আদান প্রদানের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে তোলে। যা একপর্যায়ে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। উক্ত সম্পর্কের কথা ভিকটিম বিবাদির পরিবারের নিকট বলে দেবে মর্মে হুমকি দিয়ে ভিকটিম বিবাদীর নিকট হতে প্রায় টাকা আদায় করে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে ২ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে ভিকটিম বিবাদীকে ফোন করে বিবাদীর নিকট টাকা দাবি করে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের পানি উন্নয়ন বোর্ডের পূর্বপাড়ে পরিত্যক্ত রুমে দেখা করতে বলে।

বিবাদী ভিকটিমকে ফোন করে উল্লিখিত স্থানে দেখা করে টাকা দেওয়ার কথা বলে ভিকটিমের সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করার একপর্যায়ে ধস্তাধস্তিতে ভিকটিম অচেতন হয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় যে বিবাদী ভিকটিমের সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন কালে ধস্তাধস্তিতে ভিকটিম মৃত্যুবরণ করে।

উক্ত ঘটনা থেকে বিবাদী নিজেকে আড়াল করার জন্য ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে ভিকটিমকে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

অতঃপর গত ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে মৃতদেহটি দেখতে পেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করে মর্গে পাঠানো হয়।

সিপিসি-৩, র‌্যাব-৪ মানিকগঞ্জ অঞ্চলের অভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির ও ঘটনাস্থলে থাকা আলামতের ভিত্তিতে আ. সালামকে আটক করে। আটকের পর অভিযুক্ত আ. ছালামকে (৫০) জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার দায় স্বীকার করে এবং এ ঘটনায় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম আমান উল্লাহ বলেন, জহুরা বেগমের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।