ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘রুনাকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম, সাদিয়া আসায় ঝামেলা বাধে’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২৪
‘রুনাকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম, সাদিয়া আসায় ঝামেলা বাধে’ নববধূ রুনার সঙ্গে শাহীন

ঝিনাইদহ: সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে প্রেমিককে নিয়ে দুই তরুণীর টানাটানির অবসান হয়েছে। অনশন ভেঙে প্রেমিকের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন দুই মাসের সম্পর্কের প্রেমিকা সাদিয়া।

 

এরপর অপর প্রেমিকা রুনা খাতুনকে বিয়ে করেছেন প্রেমিক শাহীন।  

এ বিষয়ে শাহীন বলেন, ‘রুনাকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম, সাদিয়া আসায় ঝামেলা শুরু হয়। ’

শাহীন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামের ইকরামুল হকের ছেলে ও  রুনা হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।

রোববার (৩ নভেম্বর) রাতে প্রেমিকা রুনার সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন শাহীন। এদিন হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের বিবাহ রেজিস্ট্রার আজিজুর রহমান মিনুর বাড়িতে বিয়ে হয় তাদের।

শাহীনের প্রতিবেশী ইফাজ উদ্দীন জানান, শনিবার বিকেলে পাশের গ্রামে থেকে রুনা খাতুন বিয়ের দাবিতে শাহীনের বাড়িতে আসেন। রুনার আসার কথা শুনে সাদিয়া নামে আরেক মেয়েও বিয়ের দাবিতে শাহীনের বাড়িতে আসেন। এতে ঝামেলায় পড়ে যান শাহীন ও তার পরিবার। কাকে রেখে কার সঙ্গে বিয়ে দেবে এ নিয়ে দ্বিধায় পড়তে হয় সবাইকে। পরে শাহীন সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে স্বেচ্ছায় চলে যায় সাদিয়া ও তার পরিবার। এরপর রুনার পরিবারকে রাজি করানো হয়। তারা রাজি হলে রাতেই পাশের উপজেলার কাজীর বাড়িতে শাহীন-রুনার বিয়ে হয়।

শাহীন বলেন, প্রথমে রুনাকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। পরে সাদিয়া চলে আসায় ঝামেলা শুরু হয়। সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। সাদিয়া স্বেচ্ছায় বাড়ি চলে গেলে রুনাকে বিয়ে করতে আর কোনো বাধা থাকেনি।  

রুনা বলেন, আমি প্রথম থেকেই শাহীনকে ভালোবাসি। তাকেই বিয়ে করতে চলেছিলাম। পরে ওই মেয়ে এসে ঝামেলা করলে সমস্যার দেখা দেয়। ওই মেয়ে চলে যাওয়ায় আমাদের দুজনের বিয়ের আর কোনো বাধা ছিল না। আমি শাহীনকে বিয়ে করতে পেরে আমার ভালোবাসা শতভাগ খাঁটি বলে মনে করছি।

এর আগে, অনশনে বসা দুই প্রেমিকাকেই বিয়ে করতে রাজি ছিলেন শাহীন।  

দুই তরুণীই তার প্রেমিকা স্বীকার করে তিনি জানিয়েছিলেন, দুজনেই সঙ্গেই তার প্রেম ছিল, বর্তমানে নেই। তাদের দুজনকেই বিয়ে করতে কোনো আপত্তি ছিল না তার।  

রুনা ও প্রতিবেশীদের বক্তব্য অনুসারে জানা যায়, শাহীনের সঙ্গে তার দুই বছরের প্রেম ছিল। তাদের বিয়েতে দুই পরিবারই রাজি ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলায় আসামি হলে রুনার পরিবার পিছু হটে। বিয়েতে আপত্তি জানায়। গত শুক্রবার রুনাকে অন্য ছেলের সঙ্গে বিয়ের জন্য চাপ দেয় পরিবার। তাই উপায় না পেয়ে শাহীনের বাড়িতে এসে ওঠেন রুনা। আর রুনার খবরে আরেক প্রেমিকা সাদিয়াও চলে আসেন শাহীনের বাড়িতে। বিয়ের দাবিতে দুজনেই অনশন শুরু করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২৪
এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।