রাজশাহী: কারাগারে দগ্ধ হওয়া সেই কয়েদি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা গেছেন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রান্নার সময় পা পিছলে ফুটন্ত গরম পানিতে পড়ে দগ্ধ হন তিনি।
মৃত কয়েদির (২১৬৭/এ) নাম বিপুল কুমার (৩৩)। তিনি নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানার লক্ষ্মীপুর ভান্ডারপুর এলাকার সুনীল চন্দ্র সরকারের ছেলে। নওগাঁ জেলার সদর থানার ২০১০ সালের একটি মাদক মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন তিনি।
রামেক হাসপাতালের তথ্য কর্মকর্তা ও জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস জানান, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রান্নার সময় বিপুল কুমার গত ১০ ফেব্রুয়ারি পা পিছলে ফুটন্ত গরম পানিতে পড়ে যান। এতে তিনি মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন। গরম পানিতে ঝলসে যাওয়ায় কারাকর্তৃপক্ষ উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠায়। এরপর তাকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তার মৃত্যু হয়।
এদিকে রামেক হাসপাতাল বার্ন ইউনিটের প্রধান চিকিৎসক ডা. আফরোজা নাজনীন জানান, গরম পানিতে পড়ে যাওয়ায় বিপুল কুমারের শরীরের ২০ শতাংশ মারাত্মকভাবে ঝলসে গিয়েছিল। বার্ন ইউনিটে ভর্তির পর তার অবস্থার অবনতি ঘটে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পরে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছিল। আর তাকে স্থানান্তরের জন্য হাসপতাল কর্তৃপক্ষ একটি অ্যাম্বুলেন্সেরও ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু ঢাকায় পাঠানোর আগেই দগ্ধ বিপুল কুমারের মৃত্যু হয়।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। কারাবিধি অনুযায়ী এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫
এসএস/জেএইচ