ঢাকা, রবিবার, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বেনাপোল সীমান্তে বসেনি দুই বাংলার একুশের মিলনমেলা

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫
বেনাপোল সীমান্তে বসেনি দুই বাংলার একুশের মিলনমেলা

বেনাপোল (যশোর): ফ্যাসিবাদ সরকার পতনের পর ভারত বাংলাদেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ভালো না থাকায় এবছর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বেনাপোল চেকপোস্ট নোম্যান্সল্যান্ডে দুই বাংলার ভাষাপ্রেমি মানুষের মিলনমেলা বসেনি।  

তবে আগামী দিনে দুই বাংলার ভাষাপ্রেমি মানুষদের নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট নোম্যান্সল্যান্ডে মাতৃভাষা দিবস পালন করা হবে বলে জানায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি।

জানা যায়, বিগত বছরগুলোতে ২১ ফেব্রুয়ারিতে বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ড এলাকা নানান সাজে সাজানো হতো। নোম্যান্সল্যান্ডে নির্মাণ করা হত অস্থায়ী শহীদ মিনার। এ শহীদ মিনারে ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহর থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতেন দুই দেশের ভাষাপ্রেমি মানুষেরা। এ দিনে আবেগ আর ভালোবাসায় ভাষাপ্রেমিরা ভুলে যেত তাদের দুই দেশের সীমান্ত রেখা।  

এদিকে এবারের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে এই দৃশ্য আর দেখা যায়নি। এছাড়া এতোদিনে ভারত বাংলাদেশের সরকারি প্রতিনিধিরা ও সে সময়ের সরকার দলীয় এমপি, মন্ত্রীরা প্রতিবেশী দেশে গিয়ে শহীদ বেদিতে ফুল দিতেন। কিন্তু এবার দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক ভালো না থাকায় এবার আর সীমান্তের শূন্য রেখায় যৌথভাবে ২১ ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠান হয়নি। তবে ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে ছোট করে একটা অনুষ্ঠান হয়েছে। এবং বাংলাদেশ সীমান্তেও ছোট পরিসরে সরগম সংগীত একাডেমি উদ্যোগে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি জানান, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক ভালো না। যার জন্য এবছর  বেনাপোলের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে একুশের মিলন মেলার অনুষ্ঠান হয়নি। তবে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক ভালো হলে আগামী দিনে দুই বাংলার ভাষাপ্রেমি মানুষদের নিয়ে নোম্যান্সল্যান্ডে একুশের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলে তিনি জানান।

শার্শা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডা. কাজী নাজিব হাসান জানান, আগে একুশে ফেব্রুয়ারিতে বেনাপোল সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে যৌথভাবে দুই বাংলার ভাষাপ্রেমি মানুষদের নিয়ে মাতৃভাষা দিবস পালন করা হতে। কিন্তু এ বছর নোম্যান্সল্যান্ডের এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়নি।  

 বাংলাদেশ সময়: ০৯৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।