ঢাকা: সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় যাকাতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী সমাজ ব্যবস্থায় যাকাতের সৌন্দর্য ও প্রভাব রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে ‘রোল অব ইসলামিক সোশ্যাল ফাইন্যান্স ইন ইকোনমিক এম্পায়ারমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, সম্পদ বণ্টনের যে প্রক্রিয়াগুলো সবচেয়ে বেশি অনুস্মরণীয় তার অন্যতম সঠিক পদ্ধতি যাকাত। যাকাত দিতে মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে এবং সমাজে যাকাতের ইম্প্যাক্ট দৃশ্যমান করতে হবে। যাকাত দারিদ্র বিমোচনের একটি হস্তান্তর প্রক্রিয়া। নৈতিকতাবিহীন নেতৃত্ব তৈরি হলে সম্পদের সুষম বণ্টন হবে না। আমরা সুষম সমাজ চাই-নৈতিক নেতৃত্ব চাই।
উপদেষ্টা বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে ট্যাক্সেশন সিস্টেম যদি সঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যাবে না।
এখন মানুষের সাফল্যকে বিচার করা হয় তার ভোগ সক্ষমতাকে দিয়ে। তার আত্মসম্মান, শ্রদ্ধা ও সামাজিক দায়কে বিচার করা হয় না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সেমিনারে কি-নোট উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোইকোনমিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপকের ড. এম এমরানুল হক।
অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তৃতা করেন ওয়ার্ল্ড যাকাত অ্যান্ড ওয়াকফের সেক্রেটারি জেনারেল দাতুক ড. মোহাম্মদ গাজালি নূর।
সেমিনারে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইকোনমিক্স ডিপার্টমেন্টের প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক, তারবিয়াহ এডুকেশন নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোখতার হোসেন, সিজেডএমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্টের নির্বাহী পরিষদের কনভেনার এবং রহিম-আফরোজ গ্রুপের গ্রুপ পরিচালক মুনওয়ার মিসবাহ মঈন।
এর আগে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ত্রয়োদশ যাকাত ফেয়ারের উদ্বোধন করেন।
সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) দুই দিনব্যাপী যাকাত ফেয়ার আয়োজন করে। এখানে বিভিন্ন আর্থিক ও যাকাত প্রতিষ্ঠানের স্টল, যাকাতের হিসাব নিরূপণ ও যাকাত সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য কনসালটেশন ডেস্ক ও ইসলামি বইয়ের স্টল রয়েছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ফেয়ার সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫
জিসিজি/এএটি