ঢাকা: পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, মনে রাখতে হবে, এই বর্বরতা কোনো সেনাসদস্য করেনি। সম্পূর্ণটাই তদানীন্তন বিডিআর সদস্য দ্বারা সংঘটিত।
তিনি বলেন, এখানে যদি ইফ এবং বাট আনেন, এই যে বিচারিক কার্যক্রম এতদিন ধরে হয়েছে, ১৬ বছর ধরে, ১৭ বছর ধরে যারা জেলে আছে, যারা কনভিকটেড, সেই বিচারিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। এই জিনিসটা আমাদের খুব পরিষ্কার করে মনে রাখা প্রয়োজন। এই বিচারিক প্রক্রিয়াকে নষ্ট করবেন না। যে সমস্ত সদস্য শাস্তি পেয়েছে, তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া ক্লাবে পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, এখানে কোনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এর মধ্যে উপস্থিত ছিল কি না, ইনভলভড ছিল কি না, বাইরের কোনো শক্তি এর মধ্যে ইনভলভ ছিল কি না, সেটার জন্য কমিশন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান এখানে আছেন। উনি এটা বের করবেন এবং আপনাদের জানাবেন।
তিনি বলেন, বটমলাইন হচ্ছে যে এই সমস্ত, আমাদের এই চৌকস সেনাসদস্য, যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তারা প্রাণ হারিয়েছেন তদানীন্তন বিডিআর সদস্যদের গুলিতে। আমরা নিজেরা এসব জিনিস নিয়ে অনেক ভিন্নমত পোষণ করছি কেউ কেউ। এই জিনিসটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছি। সেটা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।
সেনাপ্রধান বলেন, আজ কিছু উপদেশ আপনাদের দিয়ে যাব, আপনারা যদি গ্রহণ করেন, আপনারা লাভবান হবেন। আমি আপনাদের নিশ্চিত করছি। আমরা নিজেরা ভেদাভেদ সৃষ্টি না করি। আমরা নিজেরা ইউনাইটেড থাকি। আমাদের মধ্যে যদি কোন সমস্যা থেকে থাকে, কোন ব্যত্যয় থেকে থাকে তাহলে সেটা আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করব। এটার জন্য ডানে-বাঁয়ে দৌড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। নিজের ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভই হবে না। আমি আপনাদের এই বিষয়টা নিশ্চিত করে দিচ্ছি।
তিনি বলেন, কিছু কিছু বিডিআর সদস্যদের দাবি, তারা ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন শাস্তি পেয়েছেন। কেউ কেউ দাযী করছেন, তারা অযাচিতভাবে শাস্তি পেয়েছেন। এর জন্য আমি একটা বোর্ড করে দিয়েছি। যেটা একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল সেই বোর্ডের সদস্য। প্রথম ফেজে ৫১ জন সদস্যের বিষয়ে আমার কাছে রিকমেন্ডেশন নিয়ে এসেছিলেন। আর তার এই রিকমেন্ডেশনের অধিকাংশই আমি গ্রহণ করেছি। এবং আরও বেশি আমি দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, নেভি ও এয়ারফোর্সও তাদের এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যদি কেউ অপরাধ করে থাকে, সেটার জন্য কোনো ছাড় হবে না, বিন্দুমাত্র ছাড় নাই। আমি আপনাদের পরিষ্কার করে দিচ্ছি। ইট ইজ অ্যা ডিসিপ্লিন ফোর্স, তাই ডিসিপ্লিন ফোর্সকে ডিসিপ্লিন থাকতে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫
ইএএস/আরএইচ