ঢাকা, বুধবার, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ১২ মার্চ ২০২৫, ১১ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

পাবনায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে দুদকের মামলা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৫
পাবনায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে দুদকের মামলা 

পাবনা: পাবনায় আবুল কালাম আজাদ (৪৮) নামে এক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে দুদক সমন্বিত পাবনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সুত্র ধর বাদী হয়ে মামলা তিনটি করেন।

 

তিনটি মামলায় তাদের বিরুদ্ধে চার কোটি চার লাখ ৬৫ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। আবুল কালাম আজাদ বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হিসেবে কর্মরত।  

মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন- আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৪৭) ও ছেলে ফজলে রাব্বী (২১)। তাদের বাড়ি পাবনা জেলা শহরের শালগাড়িয়া মহল্লায়।  

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পিআইও আবুল কালাম আজাদ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাকরির সুবাদে অসৎ উপায়ে সম্পদ অর্জন করেন এবং এসব অর্থ তার সন্তান ও স্ত্রীসহ আত্মীয় স্বজনের নামে জমা রাখেন। দুদক সমন্বিত পাবনা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন তথ্য অনুসন্ধান করে এর সত্যতা পান। অনুসন্ধানে দুদক কর্মকর্তারা দেখতে পান যে আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন ও ছেলে ফজলে রাব্বীর কোনো আয়ের উৎস নেই। পিআইও আজাদ অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে কোটি কোটি টাকা স্ত্রী-পুত্রের নামে গচ্ছিত রেখেছেন। তাদের তিনজনের নামে চার কোটি চার লাখ ৬৫ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে। যা আইনের চোখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তারা এসব সম্পদের বিপরীতে প্রয়োজনীয় কাগজ দেখাতে না পারায় তাদের নামে মামলা করা হয়েছে।  

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুদক পাবনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সুত্র ধর বলেন, মামালা তিনটি নথিভুক্ত হয়েছে। এখন এর বিস্তর তদন্ত করে প্রবিবেদন দেওয়া হবে।  

মামলায় অভিযুক্ত পিআইও আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৫
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।