ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৩ মার্চ ২০২৫, ১২ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

নারী-শিশুর মরদেহ উদ্ধার: স্বামীসহ তিনজনের নামে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৫
নারী-শিশুর মরদেহ উদ্ধার: স্বামীসহ তিনজনের নামে মামলা

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়নের মসুরগাঁও এলাকায় মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতপরিচয় নারী ও শিশুর মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে।

নিহতরা হলেন-বরিশালের হিজলা থানার বাসিন্দা তানিয়া আক্তার (৩০) ও তার মেয়ে রাবেয়া (৪)।

 

এ ঘটনায় বুধবার (১২ মার্চ) ঘটনায় তানিয়া আক্তারের বাবা দুলাল হাওলাদার বাদী হয়ে মেয়ের জামাই আব্দুর রহমানসহ তিনজনকে আসামি করে গোসাইরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

গোসাইরহাট থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়নের মসুরগাঁও এলাকায় মেঘনা নদীতে এক নারী ও শিশুর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় জেলেরা পুলিশকে জানায়। গোসাইরহাট থানার এসআই মাহাবুবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। পরিচয় শনাক্তের জন্য আশপাশের এলাকায় মাইকিং করা হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ও নিউজ ছড়িয়ে পড়লে নিহতের স্বজনরা থানায় এসে মরদেহ শনাক্ত করেন।  

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে গোসাইরহাট থানা পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়।  

এ ব্যাপারে গোসাইরহাট থানার ওসি মাকসুদ আলম বলেন, মঙ্গলবার বিকেলেই আমরা নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হই। তারা সম্পর্কে মা ও মেয়ে। এ ঘটনায় তানিয়া আক্তারের বাবা দুলাল হাওলাদার বাদী হয়ে মেয়ের জামাই আব্দুর রহমানসহ তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।  

ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার সকালে মরদেহ দুটি নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। হত্যার কারণ সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি, তবে তদন্ত চলছে।

** মেঘনার তীরে পড়েছিল নারী ও শিশুর মরদেহ 

বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।