ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৩ মার্চ ২০২৫, ১২ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

কর বাড়িয়ে তামাক বন্ধ সম্ভব নয়, প্রয়োজন ইনোভেটিভ আইডিয়া

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৫
কর বাড়িয়ে তামাক বন্ধ সম্ভব নয়, প্রয়োজন ইনোভেটিভ আইডিয়া অনুষ্ঠানে অতিথিরা।

ঢাকা: কর বাড়য়ে কিংবা তামাক চাষ বন্ধ করে সিগারেটমুক্ত সমাজ গড়া যাবে না। এজন্য ইনোভেটিভ আইডিয়া বের করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম।

 

বুধবার (১২ মার্চ) রাজধানীর পুরানা পল্টনে রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে তামাক পণ্যের কার্যকর কর ও মূল্যবৃদ্ধিবিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, তামাকবিরোধী যত সংগঠন রয়েছে সবার নজর দেওয়া উচিত সামাজিক সচেতনতার ওপর। বর্তমান নারী ধূমপায়ীদের সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশের বড় একটি কোম্পানি সম্প্রতি নতুন একটি ব্যান্ডই এনেছেন নারীদের জন্য। বর্তমানে নারী ও পুরুষ সব ক্ষেত্রে ধূমপান বেড়েছে।

তিনি বলেন, তামাকবিরোধী কার্যক্রমে সব সংস্থা ব্যর্থ হয়েছে। সবাই দেশব্যাপী প্রচারণা চালাতে পারলে সিগারেট ব্যবহারে আমূল পরিবর্তন আসতে পারে। উত্তম বিকল্প না ভেবে তামাক চাষিদের তামাক উৎপাদনে নিরুৎসাহিত করা সম্ভব নয়।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (মূসক নীতি) ড. মো. আবদুর রউফ বলেন, এনবিআর সিগারেটের দাম কমায় না। এনবিআর সবদিক বিবেচনা করে কর নির্ধারণ করে। আর দামটা প্রতিষ্ঠানগুলোই নির্ধারণ করে।

তিনি আরও বলেন, তামাকমুক্ত সমাজ গড়তে হলে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য কৃষি মন্ত্রণালয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাই দপ্তর ও পক্ষগুলো মিলে উদ্যোগ নিতে হবে। তবেই পুরোপুরি ধূমপানমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার দিকে এগুনো সম্ভব হবে।  

ইআরএফ-এর সভাপতি দৌলত আকতার মালা বলেন, তামাকবিরোধী নাগরিক সংগঠনগুলোর প্রস্তাবনা অনুসারে সিগারেটের দাম বাড়ানো গেলে সিগারেটের ওপর বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক হার ৬৭ শতাংশ অপরিবর্তিত রেখেই আগামী অর্থবছরে চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৪৩ শতাংশ বেশি রাজস্ব আহরণ করা সম্ভব।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধে ডরূপের উপ-নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান বলেন, বর্তমানে বাজারে নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ ও অতি উচ্চ- এ চার স্তরের সিগারেট বিক্রি হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের এ দাম বাড়ানোর পরও সবচেয়ে সস্তা সিগারেটের একটি শলাকা ছয় টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সিগারেটের সহজলভ্যতা কমাতে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রতি শলাকা সিগারেটের দাম অন্তত ৯ টাকা ধার্য করতে হবে।

সিগারেট বিক্রির সিংহভাগ প্রায় ৯০ শতাংশ নিম্ন ও মধ্যম স্তরের দখলে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মাথাপিছু সিগারেট বিক্রি বিগত বছরগুলোতে প্রায় একই রকম থাকলেও এ দুই স্তরে সিগারেট বিক্রি বেড়েছে। আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে নিম্ন ও মধ্যম এই দুটি স্তরকে একত্রিত করে এ নতুন তিন স্তরের সিগারেটের দশ শলাকার একেকটির দাম যথাক্রমে ৯০ টাকা, ১৪০ টাকা ও ১৯০ টাকা ধার্য করতে হবে।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ডরূপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী এএইচএম নোমান। ইআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিটিএফকে বাংলাদেশের মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৫
জেডএ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।