বরিশাল: ঈদ মানেই উৎসব। সেই উৎসবে নিজেকে নতুন রূপে তুলে ধরাতেও রয়েছে আনন্দ।
শনিবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর বটতলা এলাকায় খানাপিনা রেস্টুরেন্টে এ উৎসবের আয়োজন করেছে উম্মে মারজান হক নামে এক উদ্যোক্তা।
যেখানে দক্ষ শিল্পীরা নতুন নতুন নকশা ও সৃজনশীলতার সংমিশ্রণে নারী, তরুণী ও শিশুদের হাত রাঙিয়ে তুলছেন। মানসম্মত ও অর্গানিক মেহেদি ব্যবহারের সুযোগ থাকায় নারী ও তরুণীরা স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে মেহেদী উৎসবে অংশ নিচ্ছেন।
উৎসবের আয়োজক উম্মে মারজান হক জানান, নারীদের কাছে মেহেদি কেবল একটি শৈল্পিক নকশা নয়, এটি আবেগেরও বহিঃপ্রকাশ। শহুরে কর্মব্যস্ত জীবনে সবাই ঈদের আগে বাসায় বসে মেহেদি দিতে পারে না। তাই গত তিন বছর ধরে ঈদকে সামনে রেখে এ উৎসবের আয়োজন করা।
তিনি বলেন, গত বছরেও ৫ শতাধিক নারী ও তরুণী এ উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। এ বছরও শুরু থেকেই বেশ সারা ফেলেছে আয়োজন। যদি ৩০ রমজান হয় তাহলে তিন দিন আমাদের এ উৎসব চলবে আর ২৯ রমজান হলে রোববারই শেষ দিন। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত আমাদের এ উৎসব প্রতিদিন খানাপিনা রেস্টুরেন্টের ভেন্যুস্থলে চলবে।
তিনি আরও বলেন, উৎসবে একসঙ্গে অনেক নকশা ও শিল্পী থাকায় নিজের পছন্দমতো মেহেদি দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা, যা অন্য কোথাও এত সহজে সম্ভব নয়। পাশাপাশি অর্গানিক মেহেদীর ব্যবহার হওয়ায় ত্বকের কোনো ক্ষতি হওয়ার ভয় নেই। এক কথায় এ উৎসবের মাধ্যমে সবার হাত রাঙানো সহজ সুযোগ তৈরি করাই যেন উদ্দেশ্য।
এদিকে মেহেদি দিয়ে বেশ খুশি নারী তরুণী ও শিশুরা। তাসফি রাহমা এক স্কুলছাত্রী বলেন, এখানে মেহেদি দিতে এসে তো উৎসবের আনন্দ পাচ্ছি। যারা মেহেদি দেওয়ার কাজ করছেন তারা অনেক দক্ষ হওয়ায় বেশি সময় যেমন লাগেনি তেমনি নকশাতেও কোনো ত্রুটি হয়নি।
অপরদিকে পপি নামে এক নারী বলেন, গতবার বান্ধবীর কাছ থেকে শুনে এবার চলে এসেছি মেহেদি উৎসবে। এত স্বল্প খরচে বরিশালে আর কোথাও মেহেদি দেওয়ার সুযোগ নেই। এখানে যেমন পছন্দমতো নকশায় হাতে মেহেদি করা যাচ্ছে, তেমনি আবার সবাই খুব আন্তরিক হওয়ায় এসে খারাপও লাগছে না। আশা করি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই উৎসবের জনপ্রিয়তা বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৫
এমএস/আরবি