যশোরে সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির চোখ তুলে নিয়েছেন তার বেয়াইন (ছেলের শাশুড়ি)।

পরে হাসি নামে ওই নারী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

ওই নারীর অভিযোগ, তার বেয়াই সিরাজুল তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ঘটনার সময় সিরাজুল তার ওপর জবরদস্তি চালাতে গেলে তিনি বাধা দেন। এসময় তাকে মারধর করতে থাকেন সিরাজুল। আত্মরক্ষার্থে তিনিও পাল্টা আঘাত করার সময় তার হাত সিরাজুলের চোখে লাগে। এতে তার চোখে ক্ষতি হতে পারে।

আহত সিরাজুল ইসলামকে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। তিনি যশোর শহরের বারান্দিপাড়া কদমতলার বাসিন্দা।  

স্থানীয়রা জানান, শনিবার ঘটনার কিছুক্ষণ আগে সিরাজুল ছেলের শ্বশুরবাড়িতে আসেন। এরপর হঠাৎ মারামারি ও কান্নাকাটির শব্দ পাওয়া যায় ওই বাড়ি থেকে। পরে তারা দুই তলায় উঠে দেখেন সিরাজুল ও তার বেয়াইন হাসি একে অন্যকে লোহার পাইপ দিয়ে মারছেন। সেসময় সিরাজুলের এক চোখ ক্ষতবিক্ষত দেখা যায়। হাসির শরীরের বিভিন্ন স্থানেও জখমের দাগ ছিল।

স্থানীয়রা দুজনকে শান্ত করে গুরুতর অবস্থায় সিরাজুলকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে হাসি বেগম নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

এদিকে হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় সিরাজুল ও তার স্বজনরা জানান, শত্রুতার জেরে হাসি, তার মেয়ে মনিকা ও দুলাভাই মনিরুল শাবল দিয়ে সিরাজুলকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। এছাড়া, তার চোখও তুলে নিয়েছেন হাসি।

অন্যদিকে হাসি বেগম অভিযোগ করেন, সিরাজুল দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। তিনি রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর হামলা চালান সিরাজুল। এ সময় তিনি আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। তখন তার হাত সিরাজুলের চোখে লাগে। তিনি অভিযোগ করেন সিরাজুল তাকেও মারধর করেছেন।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পান, সিরাজুল চোখে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন। তাকে খুলনায় পাঠানো হয়। হাসিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৫
আরএ