১৪৩২-এর আনন্দ শোভাযাত্রা এযাবতকালের সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) শোভাযাত্রা শেষে চারুকলা অনুষদে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, এবার একটু ভিন্ন প্রেক্ষাপটে নববর্ষ আয়োজন করা হয়েছে। এবার সরাসরি নাশকতার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে অনেক যৌক্তিক-অযৌক্তিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু আমরা কোনোরকম বাধাবিপত্তি ছাড়া আমরা সমাপ্ত করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে, এবারের শোভাযাত্রায় আমরা তা প্রতিফলিত করতে চেয়েছি। এবারের প্রতিপাদ্যে দুইটি বিষয় ছিল। প্রথমত- নিবর্তনমূলক স্বৈরাচারী সামাজিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার অবসানে জাতির উল্লাস এবং আনন্দ; আরেকটি ছিল ঐক্য এবং সম্প্রীতির ডাক। এটি কেবল বাংলাদেশে নয়, সারাবিশ্বের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের সঙ্গে প্রতি সহমর্মিতা ও সমর্থন প্রকাশ করে।
যে তিনটি কথার ওপর জাতিসংঘ থেকে শোভাযাত্রাকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, তার সবগুলো এবারের শোভাযাত্রা আয়োজনে বড় পরিসরে পালিত হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে জাতিসংঘ আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছিল, সেখানে তিনটি বিষয় উল্লেখ ছিল। প্রথমত, যতবেশি সংখক সাংস্কৃতিক এবং নৃতাত্তিক বৈচিত্র্য তুলে ধরা যায়। এবছর সর্বোচ্চ সংখক নৃগোষ্ঠী, সমতল, পাহাড়ি এবং বাঙালি জাতিসত্তাকে উপস্থাপন করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিষয় ছিল আলাপ-আলোচনা করা। এবার আয়োজন করতে গিয়ে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা করা হয়েছে। আমরা দেশব্যাপী বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে পেরেছি। তৃতীয়ত, দৃষ্টিনন্দন করার কথা বলা হয়েছে। এবার সবচাইতে বর্ণাঢ্য বৈচিত্র্যপূর্ণ আয়োজন হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৫
এফএইচ/এমএম