বরিশাল: মালয়েশিয়ায় পাচার হওয়া ভাইয়ের সন্ধান ও মানব পাচার আইনে ৯ জনের বিরুদ্ধে বরিশালের আদালতে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার বরিশাল মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করা হয়।
বাদী মো. খলিল বরিশালের হিজলা উপজেলার মাসকাটা গ্রামের আমির হোসেন গাজীর ছেলে।
আসামীরা হলেন-মেহেন্দিগঞ্জের আন্দারমানিক গ্রামের আবুল সরদারের ছেলে জাহাঙ্গির সর্দার, পূর্ব কোড়ালিয়া গ্রামের মৃত রহিম বেপারীর ছেলে আলী আহম্মেদ ব্যাপারী, একই গ্রামের কাদের হাওলাদারের ছেলে মালয়শিয়া প্রবাসী রাসেল হাওলাদার, জাহাঙ্গির সরদারের স্ত্রী ছকিনা বেগম, একই গ্রামের মৃত আলী বেপারীর ছেলে পিলটু ব্যাপারী, হারুন বেপারীর স্ত্রী অজুফা বেগম, আন্ধারমানিক গ্রামের মৃত নাদের আলির ছেলে কাদের হাওলাদার, তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও মাসকাটা গ্রামের মৃত উমেদ আলী মৃধার ছেলে হারুন মৃধা।
মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা জানান, আসামিরা মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য। জাহাঙ্গির সরদারের শ্যালক রাসেল হাওলাদার মালয়েশিয়া প্রবাসী। তার মাধ্যমে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ভালো বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। প্রলোভনে সাড়া দিয়ে বাদীর ভাই রিপন গাজি ও আবু রায়হান বাঘাকে মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
এরপর ২০২৪ সালের ৩০ মে রিপন ও রায়হানকে মালয়েশিয়া নেওয়া হয়। কিন্তু শর্ত অনুযায়ী চাকরি না দিয়ে, তাদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয় এবং জঙ্গলে গাছ কাটার কাজ দেওয়া হয়। সেখানে কাজ করার পরও ঠিকমতো বেতনভাতা দেওয়া হয়নি। অর্ধাহারে-অনাহারে মানবেতর জীবনযাপন করতে থাকেন তারা। দেশে ফিরে আসতে চাইলে তাদের কাছে ৫ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়।
২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারির পর থেকে রিপন ও রায়হানের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের খোঁজ চাইতে গেলে আসামিরা কিছুই জানে না বলে জানায়। পরে তাদের দুইজনকে ফিরে পেতে মামলা করেন বাদী।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৫
এমএস/এসআইএস