বাংলাদেশ মেরিটাইম সেক্টরে স্যাটেলাইট ভিত্তিক অটোমেটিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে জাহাজ চলাচলকে নিরাপদ ও ডিজিটাল করতে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) ও ডেনমার্কের প্রতিষ্ঠান স্টারনুলার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিএসসিএলের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএসসিএলের পক্ষে ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও ড. মুহাম্মদ ইমাদুর রহমান ও স্টারনুলার পক্ষে সিইও লার্স মলস্টেন সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন।
আইসিটি বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এটি বিশ্বের প্রথম প্রযুক্তি, যা সমুদ্র নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে। বিশ্বের প্রথম কোম্পানি হিসেবে এ সার্ভিস দিচ্ছে ডেনমার্কের প্রতিষ্ঠান স্টারনুলা।
স্যাটেলাইট ভিত্তিক অটোমেটিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম একটি ট্র্যাকিং সিস্টেম, যা শিপিং লাইন, ফিশিং ট্রলার, বন্দর এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জাহাজের অবস্থান, গতিবিধি, গন্তব্য এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও নেভিগেশন সতর্কীকরণ প্রযুক্তিও রয়েছে এই সিস্টেমে।
এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বিএসসিএল ও স্টারনুলা সমুদ্রে চলাচলকারী বিভিন্ন বড়-ছোট জাহাজে যোগাযোগ স্থাপন, জাহাজ অপারেশন আরো মডার্ন ও ডিজিটাল করা, সমুদ্রবন্দরগুলোর সাথে চলাচলকারী জাহাজের অলটাইম যোগাযোগ স্থাপন, সমুদ্রে আরও বেশি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি ও নতুন ইনোভেশন বৃদ্ধিতে আলোচনা চালিয়ে যাবে।
প্রধান উপদেষ্টার ভিশন ম্যানুফাকচারিং হাবে পরিণত হবে বাংলাদেশ। ম্যানুফাকচারিং হাবে পরিণত হলে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলোতে জাহাজ চলাচল সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়াও সমুদ্র বন্দর আধুনিকায়ন করতে হলে এই প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশে প্রায় ৩৭ হাজার বিভিন্ন ধরনের ফিশিং ট্রলারসহ মোট ৫০ হাজার নৌযান রয়েছে। কিছু কিছু নৌযান প্রায় ১০০ থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত ফিশিং করতে চলাচল করে থাকে। এ বিশাল সংখ্যক নৌযানকে স্যাটেলাইট ব্যতীত নেটওয়ার্ক দেওয়া সম্ভব নয়। বিএসসিএল ও স্টারনুলা বাংলাদেশের সমুদ্র অর্থনীতেকে গতিশীল করতে এ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডেনমার্ক দূতাবাসের হেড অব ট্রেড মিশন আলি মুশতাক বাটসহ উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআইএইচ/এমজেএফ
