ঢাকা: জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বরিশালের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মীরা ও তার স্বামীর নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংসদ সদস্য থাকার সময়ে ১০টি অ্যাকাউন্ট থেকে ১৭৮ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আসামির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ৫৭ লাখ ১৮ হাজার ৪৪ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখা এবং নিজ নামীয় ১০টি ব্যাংক হিসাবে ১৩৯ কোটি ৩৫ লাখ ৮২ হাজার ৯৬৪ টাকা জমা এবং ১৩৯ কোটি ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ৬৬৮ টাকা উত্তোলনসহ মোট ১৭৮ কোটি ৫২ লাখ ৫৬ হাজার ৬৩১ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করায় মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে উহার রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪/২)(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়।
তিনি আরও জানান, আসামি মো. মোশারফ হোসাইন সর্দার তার স্ত্রীর সহায়তায় তার নিজ নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ২৬ লাখ ৪৮ হাজার ৫০৮ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখা এবং নিজ নামীয় তিনটি ব্যাংক হিসাবে ১৮ কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার ৪০৪ টাকা জমা এবং ১৮ কোটি ২৯ লাখ ৬৬ হাজার ৩৬৮ টাকা উত্তোলন মোট ৩৬ কোটি ৭৪ লাখ ৩৬ হাজার ৭৭২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে উহার রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করার অপরাধে মোশারফ হোসাইন সর্দার এবং সৈয়দা রুবিনা আক্তার মীরা, এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা: মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় আরও একটি মামলা রুজু করা হয়।
এসএমএকে/এএটি