ঢাকা: সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তায় ২৫ জন সাংবাদিককে মিডিয়া ফেলোশিপ দিয়েছে বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি)।   

মঙ্গলবার (১৩ মে) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ওয়াইডব্লিউসিএ অডিটোরিয়ামে এ ফেলোশিপের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনএনআরসি রোড সেফটি ফেলোশিপের উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রতিবেদন বাড়ানো যা কার্যকরভাবে জীবন বাঁচাতে, সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের সংখ্যা কমাতে এবং সবার জন্য নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিএনএনআরসি মিডিয়ার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিরাপদ চলাচলকে উৎসাহিত এবং নীতি সংলাপকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে আচরণগত পরিবর্তনে কাজ করছে। বাংলাদেশে সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন তৈরি এবং সমর্থনে অবদান রাখা। গণমাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য ও উন্নয়ন ইস্যু হিসেবে তুলে ধরা। সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে তথ্য ও বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন পরিবেশনে সাংবাদিকদের সহায়তা করা এবং গণমাধ্যমের সহায়তায় সঠিক ও সময়োপযোগী তথ্য পৌঁছে দিয়ে নীতিনির্ধারকদের সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন চালু ও বাস্তবায়নে উৎসাহিত করা।

২৫ জন ফেলো সড়ক নিরাপত্তা আইন, সেফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে মোট ৭৫টি প্রতিবেদন তৈরি করবেন। ফেলোশিপের মূল লক্ষ্য হলো গণমাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা আইনবিষয়ক প্রতিবেদন বাড়ানো এবং সচেতনতা সৃষ্টি করা।

রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশের সক্রিয় সদস্য হিসেবে বিএনএনআরসি ২০২২ সাল থেকে সড়ক নিরাপত্তায় গণমাধ্যমের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নিরলস কাজ করছে।

এসডিজি টার্গেট ৩ দশমিক ৬ অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। টার্গেট ১১ দশমিক ২ অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ ও টেকসই পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মধ্যে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে একটি কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডার স্থাপন করা হবে, যেখানে সড়ক দুর্ঘটনার বিস্তারিত তথ্য, যানবাহন সংক্রান্ত ডেটা, আহত ও নিহতের তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে গতি সীমা ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হবে এবং ২০২৪ সালে প্রবর্তিত গতি সীমা নির্দেশিকার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে। একইসঙ্গে হেলমেট স্ট্যান্ডার্ড গাইডলাইন বাস্তবায়ন ও তদারকি সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হবে।

২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত বিএনএনআরসি, একটি মিডিয়া ও ডিজিটাল উন্নয়ন সংস্থা। এটি বাংলাদেশে জ্ঞানভিত্তিক এবং চলমান মিডিয়া ও ডিজিটাল বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে কাজ করে।  

সংস্থাটি জাতিসংঘের ইকোনমিক এন্ড সোশ্যাল কাউন্সিলের-এর বিশেষ পরামর্শকের মর্যাদা অর্জন করেছে এবং ২০১৬, ২০১৭, ২০১৯, ২০২১ ও ২০২৩ সালে জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন দি ইনফরমেশন পুরস্কার বিজয়ী ও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

আরকেআর/এএটি