ঢাকা: রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে লক্ষ্য করে পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় আটক সেই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়ার বিষয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে জিডিতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মে) রাত আড়াইটার দিকে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গত বুধবার রাত ১০টার পর কাকরাইল মসজিদের সামনে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে যান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সেখানে তিনি কথা বলার এক পর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে আন্দোলকারীদের মধ্য থেকে কে বা কারা একটি পানির বোতল ছুঁড়ে মারে, যা আকস্মিকভাবে তার মাথায় আঘাত করে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা, জড়িত ব্যক্তিকে শনাক্ত এবং এ ঘটনার নেপথ্যের কারণ উদঘাটনের নিমিত্তে ঢাকা মহানগর পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মোহাম্মদ হোসাইন নামে এক ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করে। পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি দল গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর আলুবাজার পুকুরপাড় এলাকায় তার মেস থেকে শনাক্তকৃত ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। এ বিষয়ে তার সঙ্গে ওই মেসে বসবাসরত অন্যান্য সদস্যদের তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করা হয়। রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে ডিবি কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে উক্ত ঘটনার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা ও অন্যান্য বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার বয়স, পেশা, ব্যক্তিগত মানবাধিকার ও আইনের বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি উক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। এজন্য অনুতপ্ত হয়ে ভবিষ্যতে এ রূপ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবেন মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে অবহিত করেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। শুক্রবার দুপুরে তার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শুক্রবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে তাকে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য যে, ডিবি অফিসে উক্ত ব্যক্তির আসা, জিজ্ঞাসাবাদ ও হস্তান্তরের বিষয়টি যথাযথভাবে ডিবি অফিসে রক্ষিত জিডিতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
এমএমআই/আরবি