ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজধানীর পল্টনে ১১ নারী পাচারকারী আটক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
রাজধানীর পল্টনে ১১ নারী পাচারকারী আটক ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: রাজধানীর পল্টনের ফকিরাপুল থেকে প্রতারণার শিকার দুই নারীকে উদ্ধারসহ পাচারকারী চক্রের ১১ সদস্যকে আটক করেছে ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (ব়্যাব-৩)।
 
উদ্ধারকৃত দুই নারী হলেন- নাসিমা বেগম (৩৮) ও হাসনা হেনা (৩২)।


 
আটককৃতরা হলেন- মকবুল হোসেন (৩৪), রাজিব হোসেন রিপন (৩৫), ইসমাইল (৫৫), রাকিব (১৮), আমিনুল ইসলাম খান (২৬), শাহিন হোসেন (২৮), মাহবুব আলম (২২), আবুল কালাম আজাদ (৪৫), সাইফুল ইসলাম শরীফ (২৮), আজহারুল ইসলাম (২৯) ও নূর আলম রাজিব (২৫)।
 
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর ফকিরাপুলের ১৪২/২ ডিআইটি রোডের এম এইচ ট্রেড ইন্টার ন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের আটক করে র‌্যাব-৩।
 
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১১৩৬ পাসপোর্ট, ৪টি কম্পিউটার, ৪টি প্রিন্টার, ৪টি ল্যাপটপ, ২১৪ টি ভিসা ফরম, ১১৩৬টি ট্রেনিং সার্টিফিকেট, ২২টি মোবাইল ফোন ও নগদ দুই লাখ ৩৪ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।
 
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় র‌্যাব-৩ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র‌্যাব-৩ এর পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্নেল খন্দকার গোলাম সারোয়ার।
 
তিনি বলেন, আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে কাজের কথা বলে বিদেশে নারীপাচার করে আসছিলেন। বিশেষ করে এই প্রতিষ্ঠানটি সৌদি-আরব, জর্দান ও লেবাননে কাজের কথা বলে নারীপাচার করে থাকেন। বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পর নারীদের দিয়ে যৌনকর্মে বাধ্য করতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
 
তিনি বলেন, এর আগেও আমরা এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছিলাম। তবে, তেমন কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের আটক করতে পারিনি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
 
উদ্ধারকৃত নাসিমা বেগম ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। এই প্রতিষ্ঠানের একজন দালাল তাকে বিদেশে পাঠানো কথা বলে। প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা বেতনের হাসপাতালে আয়ার কাজের কথা বলে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে সৌদি পাঠান প্রতিষ্ঠানের মালিক মকবুল।
 
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সেখানে পৌঁছানোর পর প্রথমেই আমাকে একটি ঘরে বন্দি করে রাখা হয়। পরে দুই দফা অন্য দালালের কাছে হাত বদলের পর একজন নারী দালালের হাতে তুলে দেওয়া হয় আমাকে।

ওই নারী দালাল আমাকে জোর করে যৌনকর্ম করাতে চাইলে আমি আত্মহত্যার হুমকি দেই। পরে আমি মকবুলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মকবুল আমাকে অনেক গালিগালাজ করে এবং ওই কাজে ওই কাজে রাজি হওয়ার কথা বলে।
 
তিনি বলেন, এই বিষয়টি আমি ফোনের মাধ্যমে আমার স্বামীকে জানাই। আমার স্বামী মকবুলের কাছে গেলে তাকেও অনেক গালিগালাজ করেন তিনি। আমাকে তালাক দেওয়ারও পরামর্শও দেয় মকবুল।

এক পর্যায়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে আমাকে দেশে ফেরত আনার কথা বলে মকবুল। পরে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে আমি দেশে ফেরত আসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
এসজেএ/আইএ/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।