চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় উপজেলায় অপহরণ হওয়ার ১০ ঘণ্টা পর কাজী ফারহান সিফাত (৫) নামে একটি শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে শিশুটির চাচাসহ পাঁচ জনকে।
বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে আলমডাঙ্গা থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম।
সিফাত আলমডাঙ্গা পৌরসভা এলাকার কলেজপাড়ার দন্ত চিকিৎসক কাজী সজীবের একমাত্র ছেলে।
গ্রেফতার পাঁচজন হলেন- আনন্দধাম ক্যানালপাড়ার কাজী সুমন (২৮), একই এলাকার মিজানের ছেলে শাওন (২৫), লুৎফরের ছেলে আকাশ (২০), সেলিমের স্ত্রী রাশেদা (৪০) ও আশাননগরের আকমল শেখের ছেলে খোরশেদ (৩৫)। এদের মধ্যে কাজী সুমন হলেন অপহৃত শিশুটির বাবা কাজী সজীবের চাচাতো ভাই।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম জানান, বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেলে কলেজপাড়া নিজ বাড়ির সামনে থেকে মোটরসাইকেলে করে জুস কিনে দেওয়ার নাম করে সিফাতকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পরে রাতেই এ বিষয়ে শিশুটির বাবা কাজী সজীব আলমডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। রাত ১০টার দিকে মোবাইলফোনে কল দিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা না দিলে ওই শিশুটিকে খুন করার হুঁমকিও দেয় অপহরণ চক্রের সদস্যরা। এর পরই অভিযানে নামে পুলিশ। শহরের বিভিন্ন স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা করা হয়। অভিযানের একপর্যায়ে দিনগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার আনন্দধাম এলাকায় একটি বাড়ি থেকে অপহৃত সিফাতকে উদ্ধার করাসহ ওই পাঁচজন গ্রেফতার করা হয়। অপহরণ কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর বাংলানিউজকে জানান, সুমনই অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২১
এসআরএস
