ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ চৈত্র ১৪৩১, ২০ মার্চ ২০২৫, ১৯ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

শাল্লায় হামলা: আদালতে ঝুমন দাসের মায়ের মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২১
শাল্লায় হামলা: আদালতে ঝুমন দাসের মায়ের মামলা

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা করেছেন ফেসবুকে পোস্ট দাতা ঝুমন দাসের মা নিভা রানী দাস।

বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে আমল গ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম কান্ত সিনহার আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি।

 

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে ৭২ জনকে।  

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট দেবাংশ শেখর দাস।

তিনি বলেন, শাল্লা থানা পুলিশ মামলাটি না নেওয়ায় আমরা আদালতে দাখিল করেছি। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে মামলাটি তদন্ত করে ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

নিভা রানী দাস মামলায় উল্লেখ করেছেন, তার ঘরে হামলাকারীরা ঢুকে তার পুত্রবধূকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেন। মামলায় তিনি নাচনি, চন্ডিপুর, ধনপুর ও কাশিপুরসহ কয়েকটি গ্রামের ৭২ জনের নাম উল্লেখ করেন।  
 
মামলার বাদী নিভা রাণী দাস আরও উল্লেখ করেন, গত ২৫ মার্চ এ মামলাটি তিনি শাল্লা থানায় দায়ের করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ মামলাটি না নেওয়ায় আজ (বৃহস্পতিবার) আদালতে মামলাটি দাখিল করেছেন। আদালতের কাছে তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন। একই সঙ্গে তার ছেলেরও মুক্তি দাবি করেন।

গত ১৬ মার্চ নিভা রাণী দাসের ছেলে ঝুমন দাস আপন হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক আল্লামা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এ বিষয়টিকে পুঁজি করে ঝুমন ও তার আশপাশের অন্য হিন্দুদের ৮৫টি বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ ঘটনার মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্ত শাল্লার পার্শ্ববর্তী দিরাই উপজেলার নাচনি গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শহীদুল ইসলাম স্বাধীনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্বাধীন ওয়ার্ড যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।  আর ফেসবুকে বিতর্কিত স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে ঝুমন দাসকেও গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে নোয়াগাঁওয়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। একই সময়ে দলের পক্ষ থেকে সহায়তা দেন তারা।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেনে, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, কেন্দ্রীয় নেতা সুজিত চন্দ্র নন্দি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার ডাল্টন তালুকদার, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলামিন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের নেতা সুবীর তালুকদার বাপ্টুসহ অনেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২১
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।