ঢাকা: লকডাউনে সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সড়কে যাত্রীরা বিপাকে থাকার সুযোগ লুফে নিচ্ছেন অটোরিকশা চালকরা।
যাত্রীদের কাছে তারা হাাঁকাচ্ছেন দ্বিগুণ ভাড়া। যাত্রীরাও দ্বিগুণ ভাড়া দিয়েই যাচ্ছেন গন্তব্যে। কারণ সাধারণ যাত্রীদের চলাচলে সড়কে নেই গণপরিবহন (বাস)। এদিকে সকালে দেখা গেছে মিনি পিকআপ ও লেগুনায়ও যাত্রীরা চলাচল করছেন।
আবার সিএনজি অটোরিকশা চালকরা বেশি ভাড়া পাওয়ার আসায় শেয়ারিং করেও যাত্রী নিচ্ছেন।
হাতের ফ্র্যাকচারের সমস্যাজনিত কারণে মহাখালীতে চিকিৎসকের কাছে যাবেন আনোয়ার হোসেন। তিনি উত্তরা আজমপুর মোড়ে সিএনজি অটোরিকশার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। একটি সিএনজি অটোরিকশা ঠিক করলেন। পরে চালক বলছেন, আরও একজন যাত্রী নিতে হবে। পরে আনোয়ার উঠে বসলেন। চালক মহাখালীর আরও একজন যাত্রী নিয়ে তবেই রওয়ানা হলেন গন্তব্যে।
আরো পড়ুন>>>সব খোলা, বন্ধ শুধু গণপরিবহন
উত্তরা আজমপুর থেকে মহাখালী পর্যন্ত চালক ভাড়া চেয়েছিলেন ৪শ টাকা। যাত্রী আনোয়ার ২শ টাকায় যাবেন বলে জানান। এরপরই চালক বলেন আরও একজন যাত্রী নিতে হবে। তারপর আরও ২শ টাকা ভাড়া চুকিয়ে দু’জনকে ৪শ টাকায় নিয়ে মহাখালীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, লকডাউনে পড়েছি বিপদে। কিন্তু সিএনজি অটোরিকশা চালকরা সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে। ভাড়া দ্বিগুণ দিয়ে যেতে হবে। অটোরিকশা শেয়ারিং করেই যেতে হচ্ছে।
আজমপুর বাসস্ট্যান্ডে থাকা সিএনজি অটোরিকশা চালক রশিদ জানান, ভাই, বেশি ভাড়ায় যাত্রীরা যেতে চায় না। তাই একই জায়গার দুই যাত্রীকে নিয়ে যাচ্ছি। এতে আমাদের লাভ হচ্ছে আবার যারা গাড়ি পাচ্ছে না তারাও যেতে পারছে। যার যার ভাড়া সে সে দেবে।
সিএনজি অটোরিকশা চলাচলে পুলিশি কোনো বাধায় পড়েছেন কিনা জানতে চাইলে এই চালক বলেন, সড়কে কোথাও পুলিশের বাধা নেই। কেউ এখন পর্যন্ত থামায়নি।
করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা দিয়েছে সরকার। আজ লকডাউনের প্রথম দিন। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জরুরি প্রয়োজনে চলাচল করার নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না চালক ও যাত্রীরা। নিরাপত্তার জন্য যাত্রীরা সিএনজি অটোরিকশায় যাতায়াত করতে চাইলেও চালকরা একই সঙ্গে দুই যাত্রী নিচ্ছেন।
এদিকে সড়কের পাশে কম সংখ্যক হলেও রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেল চালকদের যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২১
এসজেএ/এএ