সিলেট: দেশে তৃতীয় দফায় বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। এমন অবস্থায় এক সপ্তাহের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে চলাচলের নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে গণপরিবহন বন্ধ থাকার নির্দেশনা রয়েছে।
সোমবার সকাল থেকেই সিলেট নগরের সড়কগুলো ছিল যানবাহন শূণ্য। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হালকা যানবাহন চলাচল করতে শুরু করে। বিশেষ করে সিএনজি অটোরিকশা, প্যাডেল চালিত রিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি (প্রাইভেটকার) বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল শুরু করেছে। মিনি ট্রাক দিয়ে বহন করা হচ্ছে মালামাল। খোলা রয়েছে নিত্যপণ্যের দোকানপাট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এদিন সকাল থেকে নগরের ছয়টি প্রবেশদ্বারসহ নগরের বিভিন্ন সড়ক যানবাহন শূণ্য থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরের বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। নগরের জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, বন্দরবাজার, কোর্ট পয়েন্ট, সিটি পয়েন্ট, নয়াসড়ক, জেল রোড, সুবহানীঘাট, নগরের প্রবেশদ্বার কদমতলী বাস টার্মিনাল, হুমায়ুন রশিদ চত্বর, কুমারগাঁওয়ে হালকা যান, মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ি (প্রাইভেট কার) দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে লোকজনের অবাধ যাতায়াত রয়েছে। কোথাও বাধা বিপত্তি ছাড়াই যানবাহন চলাচল করছে।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের বাংলানিউজকে বলেন, লকডাউন যথাযথভাবে পালনে নগরের ৬টি প্রবেশদ্বারসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে কিছু কিছু স্থানে নিয়ম না মেনে যানবাহন চলাচল শুরু করলে পুলিশ তা প্রতিহত করে। প্রথম দিন হিসেবে অনেককে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে পুলিশকে আরও কঠোর হতে বলে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিজন ব্যানার্জির নেতৃত্বে একটি টিম সকাল থেকে নগরে চষে বেড়াচ্ছে। এসময় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়।
সিলেট জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০ টার পর থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ঘর থেকে থেকে বের না হওয়া এবং সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২১
এনইউ/কেএআর