ফরিদপুর: শ্যালক কর্তৃক দুলাভাইয়ের পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা অবশেষে ফাঁস হয়ে গেছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ওই শ্যালক এবং ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজন।
থানা সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা এফএম এ মুছা (৫০) একই উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নে অবস্থিত ভীমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক। বছর খানেক আগে তিনি তার চাচাতো শ্যালক রাজবাড়ী জেলার উদয়পুর গ্রামের বাসিন্দা অনিক ইসলাম রনির কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ধার দেন। এরপর তিনি সেই টাকা পরিশোধও করে দেন। টাকা লেনদেন সংক্রান্ত কারণে উভয়ের মধ্যে একটা সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে রনি তার দুলাভাই এফএমএ মুছার কাছে ভেকু ক্রয়ের কথা বলে পাঁচ লাখ টাকা ধার চায়।
গত ৫ অক্টোবর বিকেল পৌনে ৬টার দিকে মধুখালি উপজেলা পরিষদের মূল প্রবেশ পথের ১০০ গজ আগে বনমালিদিয়া এলাকায় এফএমএ মুছা তার শ্যালক রনিকে পাঁচ লাখ টাকা দেন। এ সময় মধুখালি থেকে ফরিদপুরগামী একটি ডিসকভার মোটরসাইকেলের দুই আরোহী রনির হাত থেকে টাকার ব্যাগটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে এফএমএ মুছা মধুখালি থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেন। ব্যাপক তদন্ত শেষে থানা পুলিশ নিশ্চিত হয় ছিনতাইয়ের বিষয়টি রনির সাজানো নাটক।
জিজ্ঞাসাবাদে রনি স্বীকার করে যে সে আর্থিক সংকটের কারণে এই ছিনতাই নাটক ঘটিয়েছে। এরপর রনির স্বীকারোক্তি মোতাবেক টাকা ছিনতাই নাটকের সঙ্গে জড়িত রাজবাড়ী জেলার সদর থানার উদয়পুর গ্রামের আকবর হোসেন চানের ছেলে জাকির হোসেন সবুজকে (২৫) তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপর সহযোগী একই জেলার সদর থানাধীন রাজাপুর গ্রামের শুকুর আলী মোল্যার ছেলে মাসুদ মোল্যার (৩৭) বাড়ি থেকে ছিনতাই নাটকে অংশ নেওয়া ডিসকভার মোটরসাইকেল এবং ছিনতাইকৃত পাঁচ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ওই স্কুলশিক্ষক এফএমএ মুছা বাদি হয়ে মধুখালি থানায় বুধবার (৬ অক্টোবর) মামলা করেছেন।
এ ব্যাপারে মধুখালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতারদের বৃহস্পতিবার ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২১
এনটি