ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

লড়াই করে বেঁচে থাকা পরিবারগুলোর পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ

মোহাম্মদ সাহিন, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, গলাচিপা, পটুয়াখালী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২৩
লড়াই করে বেঁচে থাকা পরিবারগুলোর পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ মোহাম্মদ সাহিন, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, গলাচিপা, পটুয়াখালী

পটুয়াখালী: উপকূলীয় এলাকা পটুয়াখালীর গলাচিপায় ঝড়-ঝঞ্ঝার সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয় হাজারো অসহায় দরিদ্র পরিবারকে। তাদের জীবনযাত্রার মানও অনেক নিম্ন।

এসব অসহায় দরিদ্র মানুষ যখন হাহাকার করে, তখনো অনেকেই তাদের খোঁজ নেয় না। আমরা উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে যে সহযোগিতা করি, তা প্রয়োজনের চেয়ে অপ্রতুল।

অসহায় এসব মানুষের পাশে দাঁড়াতে জনপ্রতিনিধি ও দেশের বিত্তবানরাও অনেক সময় ব্যর্থ হন। সেই সময় তাদের পাশে এসে দাঁড়ায় দেশের শীর্ষ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। মানবিক মানুষ বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান মানবিক সহায়তা সংগঠন বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে অসহায়দের খুঁজে বের করে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আমি তাঁর কাজে অভিভূত।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও মহৎ কাজ হচ্ছে মানুষের সেবা। সেই কাজটি নিঃস্বার্থভাবে করে যাচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে সারা দেশের মতো কয়েক বছর ধরে গলাচিপায় বিভিন্ন সহযোগিতা করে আসছে তারা। করোনাকালে শুভসংঘ অসহায় ও কর্মহীন মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে।
খাদ্য সহায়তা বিতরণের সময় শুভসংঘের সঙ্গে আমিও উপস্থিত থেকেছি। গলাচিপার চর আগস্তি গ্রামে বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল উদ্বোধনেও ছিলাম। শুভসংঘের অসংখ্য কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছি।

সম্প্রতি বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে গলাচিপার ৩২ অসচ্ছল নারীকে সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এসব নারীকে কর্মমুখী করে স্বাবলম্বী করতে সেলাই মেশিন দেওয়া হবে।

সমাজে নীরবে বসুন্ধরা গ্রুপ এমন অবদান রেখে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, সরকারের পাশাপাশি গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ ছাড়াও অসহায়দের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য গরু, ছাগল ও হাঁস-মুরগি বিতরণ করে বসুন্ধরা শুভসংঘ। প্রতিবন্ধী মানুষের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ করে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল’ কার্যক্রম। অন্যদিকে পাঠাগার স্থাপন, বৃক্ষরোপণ ছাড়াও পাখির জন্য আবাসস্থল তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে অতিদরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে শিক্ষাবৃত্তি। সম্প্রতি গলাচিপার অসহায় দরিদ্র পরিবারের দুই কিশোরী শতাব্দী রায় ও মিতু আক্তারের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। এটি শুনে আমি সত্যি খুব খুশি হয়েছি। সমাজে বসুন্ধরা শুভসংঘের এসব ভালো কাজ অন্যদের জন্য অনুকরণীয়। বসুন্ধরা গ্রুপ সব সময়ই অসহায়দের সহায় হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২৩
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।