“দেশের বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই। দেশই হলো আমার ঠিকানা।
চার মাস চিকিৎসার পর লন্ডন থেকে ফিরে আসার প্রাক্কালে বিএনপি চেয়ারপারসনের একটি পুরনো ভিডিও নতুন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সামনে এসেছে। ২০১৫ সালে লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি কথাগুলো বলেছিলেন। সে সময়কার কথাগুলো ছিল অত্যন্ত হৃদয় ছোঁয়া। কিন্তু ১০ বছর পর তার এসব কথার মর্মার্থ যথাযোগ্য।
আজকের দিনে এই বক্তব্য শুধু আবেগের নয়, এক গভীর রাজনৈতিক বার্তাও। তিনি পরিবার থেকে বহুদিন দূরে ছিলেন, চিকিৎসার জন্য পাড়ি জমিয়েছিলেন বিদেশে, কিন্তু চিরপরিচিত বাংলাদেশের মাটিকেই বলছেন তার একমাত্র ঠিকানা। এই বক্তব্য প্রমাণ করে—রাজনীতি তার কাছে শুধুই ক্ষমতার লড়াই নয়, বরং এটি একটি দায়িত্ব, একটি দায়িত্বশীল ভালোবাসা, যার কেন্দ্রবিন্দুতে লাল-সবুজের বাংলাদেশ।
এক নেত্রীর উত্থান
খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে আগমন ছিল আকস্মিক। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতের পর, স্বামীর রেখে যাওয়া রাজনৈতিক দলের হাল ধরতে হয়েছিল তাকেই। রাজনীতি সম্পর্কে যার পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল শূন্যের কাছাকাছি, তিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠলেন এক কঠিন বাস্তবতার নিদর্শন।
১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিপুল জনসমর্থনে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া। সামরিক শাসন থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথরেখায় এটি ছিল একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এরপর ২০০১ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পান। খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, যিনি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। শুধু নারী বলে নয়, একজন দৃঢ়চেতা, রাজনৈতিক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতা হিসেবেই তার নেতৃত্ব স্বীকৃত হয়েছে।
নারী শিক্ষায় ব্যাপক সোচ্চার ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নারীদের শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৯১-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৬ সময়ে নিজ শাসনামলে নারীর শিক্ষা বিস্তারে বেশ কিছু নীতিমালা ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন তিনি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নারী শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি কার্যক্রম চালু; স্কুলে মেয়েদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি; নারী শিক্ষায় সামাজিক প্রচারণা ও নারী শিক্ষকের সংখ্যা বৃদ্ধি। বিশেষ করে গ্রামীণ নারীদের মধ্যে শিক্ষার প্রসারে বাড়াতে তার নেওয়া উদ্যোগ ছিল খবরের বড় শিরোনাম। তার শাসনামলেই ব্যাপকভাবে নারী শিক্ষা নিয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কার্যকর কর্মসূচি বাস্তবায়ন হয়।
খালেদা জিয়ার নারী শিক্ষা সংক্রান্ত উদ্যোগ আন্তর্জাতিক মহলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিক্রিয়া ও স্বীকৃতি অর্জন করেছিল। বিশেষ করে, তার সরকারের সময় বাংলাদেশে নারী শিক্ষার অগ্রগতির ফলে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দাতা গোষ্ঠী বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। এ ক্ষেত্রটির উন্নয়নে অর্থায়ন ও সহযোগিতা বাড়ায়। তার সময়ে নারী শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হওয়ায় ইউনেস্কো, ইউনিসেফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশকে একটি ‘মডেল ফর গার্লস এডুকেশন’ হিসেবে চিহ্নিত করে। ইউনেস্কো ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশকে ‘অসামান্য অগ্রগতি অর্জনকারী দেশ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় নারী শিক্ষায়।
বিএনপি সরকারের এ সফলতা দেখে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো উপবৃত্তি কর্মসূচি ও নারী শিক্ষাবিষয়ক প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহী হয়ে ওঠে। নরওয়ে, কানাডা, ও জার্মানি সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়। বিশ্বব্যাংক ও এডিবি নারী শিক্ষা প্রকল্পে অর্থায়ন করে। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় নারী শিক্ষায় সবচেয়ে দ্রুত উন্নত দেশগুলোর একটি হয়ে ওঠে। নারী শিক্ষায় সরকারের কার্যক্রম জাতিসংঘের বিভিন্ন শিক্ষা ও উন্নয়ন সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- বেইজিং বিশ্ব নারী সম্মেলন ১৯৯৫।
যত বাধাই আসুক, মাথা নত হয়নি
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবন কখনো সহজ ছিল না। তিনি হয়েছেন কারাবন্দি, হয়েছেন গৃহবন্দি। তার ওপর চাপানো হয়েছে মামলার পাহাড়, স্বাস্থ্য নিয়ে করা হয়েছে অবহেলা। তবু তিনি কখনোই নিজের নীতিতে আপস করেননি। তার ‘আপসহীন’ তকমাটি কেবল কাগুজে নয়, সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ একটি অভিধা।
২০১৮ সালের পর থেকে বারবার অসুস্থ হলেও সরকার তার চিকিৎসা নিয়ে যে অমানবিকতা দেখিয়েছে, তা বহুবার আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অথচ দেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটি ছিল তার প্রাপ্য মৌলিক অধিকার।
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সেনাপ্রধান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারকে অপসারণ করে ক্ষমতা দখল করেন। তিনি সংবিধান স্থগিত করে সামরিক আইন জারি করেন। এতে গণতন্ত্র চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। ১৯৮৩ সালে জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বিএনপির নেতৃত্বে আসেন খালেদা জিয়া। তিনি প্রথমে এককভাবে ও পরে ৭ দলীয় জোট গঠন করে এরশাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন পরিচালনা করেন। ১৯৮৬ সালে এরশাদ সরকারের অধীনে নির্বাচন বর্জন করে বিরোধিতা করেন, যা তৎকালীন বিরোধীদের মধ্যে দৃঢ় নেতৃত্বের পরিচয় বহন করে। ১৯৮৭-৯০ পর্যন্ত টানা হরতাল, মিছিল, সমাবেশ, গণআন্দোলনের মাধ্যমে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে এরশাদের পতন ঘটে, যার মূল নেতৃত্বে ছিলেন খালেদা জিয়া ও বিএনপি।
১৯৯০ সালে গণআন্দোলনের মাধ্যমে সামরিক শাসক এরশাদকে পতনের পর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি জয়ী হয়। খালেদা জিয়াই প্রথম গণভোটের মাধ্যমে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করেন, যা গণতন্ত্রের ভিত্তি সুদৃঢ় করে। ১৯৯১ সালের বারোতম সংশোধনীর মাধ্যমে প্রেসিডেন্সিয়াল থেকে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করেন তিনি, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো পরিবর্তনের অন্যতম বড় মাইলফলক হয়ে দাঁড়ায়। খালেদা জিয়ার আমলেই ১৯৯৬ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর ঘটে। এটি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পরিবর্তন।
বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় তিনি গণতান্ত্রিক চর্চা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। সংসদে ও সংসদের বাইরেও রাজনৈতিক মতপ্রকাশের অধিকার রক্ষায় ভূমিকা রাখেন তিনি। ১৯৯৪-১৯৯৬ সালে আন্দোলনের মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ও সেটি বাস্তবায়ন করেন খালেদা জিয়া। যার ফলে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম হয়, যা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য বড় অর্জন।
তার আমলেই নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বের ক্ষেত্র তৈরি হয়। সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রসারেও খালেদা জিয়া ব্যাপক ভূমিকা রাখেন।
১৯৯৬-২০০১ আওয়ামী লীগের শাসনামলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রহরণ শুরু হয়। প্রতিরোধ গড়ে তোলেন খালেদা জিয়া। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে। দলটির প্রধান শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা পাওয়ার পর বিরোধীদলীয় নেতাদের প্রতি দমনমূলক আচরণ শুরু করেন। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহারের মাধ্যমে বিরোধী দলের কার্যক্রমে বাধা, রাজনৈতিক হত্যা ও হয়রানির অভিযোগ করে বিএনপি।
আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসে ২০০৯ সালে। প্রারম্ভ হয় একদলীয় শাসনের। দেশের গণতন্ত্র ভেঙে টুকরো টুকরো হতে থাকে। ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয় আওয়ামী প্রহসন। খালেদা জিয়া ও তার দলের শীর্ষ নেতাকর্মীদের ওপর নির্যতনের খড়্গ চালাতে থাকে আওয়ামী সরকার। সে বছর শেখ হাসিনার অধীনে অনুষ্ঠিত হয় একতরফা নির্বাচন। বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি বড় দল সেই নির্বাচন বর্জন করে। এতে শতাধিক আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ হয় আওয়ামী লীগ। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় ২০১৮ সালের নির্বাচনেও। সেবার ব্যাপক কারচুপি, ভোট ডাকাতি ও ভোটের আগের রাতে ব্যালটে সিল মেরে ক্ষমতা নেয় আওয়ামী লীগ। এরপর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা, গ্রেপ্তার ও বিচারবহির্ভূত দমননীতি চালু করে দলটি।
এতসব ঘটনার পরও খালেদা জিয়া দৃঢ় ছিলেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করতে তিনি জনগণকে সংগঠিত করেন এবং আন্দোলন চালিয়ে যান। তার তোপ দিন দিন এত বেশি প্রগাঢ় হতে শুরু করে, ভয় পেয়ে যায় শাসক দল। ফলে তার বিরুদ্ধে শুরু হয় রাজনৈতিক হয়রানি। ২০১৮ সালে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে দুর্নীতির মামলায় কারাগারে পাঠায় আওয়মাী লীগ সরকার। কারাগারে বারে বারে অসুস্থ হন বিএনপি চেয়ারপারসন। একে তো বন্দিদশা, তার ওপর শারীরিক অসুস্থতা। তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি অপরাজনীতির কুশীলবরা। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি থেকে পিছু হটেননি খালেদা জিয়া।
২০২৪ সালের নির্বাচনে আমি-ডামি ভোট করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রে গলা কাটে আওয়ামী লীগ। অসুস্থ অবস্থায় তখনও বন্দী খালেদা জিয়া। তারপরও দেশ ও দশের কথা চিন্তা করেছেন তিনি। প্রকাশ্যে বা প্রত্যক্ষভাবে না হলেও আন্দোলন চালিয়ে যেতে গোটা দেশের মানুষের প্রতি বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। নেতাকর্মীদের ধরে রেখেছিলেন আপসহীনতার চাদরে। কোটা প্রথা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফ্যাসিস্ট সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। ৩৬ দিনের আন্দোলনে দেশবাসী কালো আওয়ামী খোলস ছিঁড়ে ফেলে। দেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হয়। খালেদা জিয়া মুক্তি পান বর্বরদের মিথ্য থেকে। সাজানো নাটক থেকে। মুক্ত বাতাসে খালেদা দেন সহনশীলতার বার্তা।
রাজনীতি তার রক্তে, দেশ তার প্রাণে
২০১৫ সালে লন্ডনের ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, “দেশের এই মুহূর্তে আমাকে দেশে যাওয়াটাও প্রয়োজন। ” তখন সেটি শুধুই একটি প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা ছিল না। ছিল একটি দায়িত্বশীল রাজনীতিকের দেশের প্রতি আত্মনিবেদনের ঘোষণা। নিজের স্বাস্থ্যের কথা না ভেবে, পরিবারের আবেগকে পাশ কাটিয়ে, এক বার্ধক্যপ্রাপ্ত নেত্রী যখন বলেন “আমাকে যেতেই হবে”, তখন বোঝা যায়— রাজনীতি এখনো তার জন্য ত্যাগের জায়গা। ২০২৫ সালের ৬ মে, তার দেশে ফেরাটা ওই দিনের কথাগুলো স্মরণ করিয়ে দেয়। খালেদা জিয়ার এবারকার দেশে ফেরা যেন সেই সময়কার বাস্তব চিত্র। ঠিক সেই সময়টায়, যখন বাংলাদেশের রাজনীতি কার্যত ক্রান্তিকালে রয়েছে, তখন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আশার আলো ছড়াবে নিঃসন্দেহে।
কেননা, এরশাদের স্বৈরশাসন হোক কিংবা শেখ হাসিনার একদলীয় প্রবণতা— খালেদা জিয়া সবসময় গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীন থেকেছেন। তিনি সংবিধান, নির্বাচন, বাক-স্বাধীনতা ও ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জীবনভর আন্দোলন করেছেন।
যে কারণে তার ফেরাটা গুরুত্বপূর্ণ
খালেদা জিয়া কোনো সাধারণ রাজনীতিক নন। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতির একটি অধ্যায়। তার ফিরে আসা মানেই একটি বার্তা— বিএনপি বেঁচে আছে, এখনো লড়াইয়ের শক্তি ধরে রেখেছে। তার উপস্থিতি দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে যে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তিনি যখন বলেন, “আমি আল্লাহর রহমতে ভালো আছি, সুস্থ আছি”— এই স্বস্তির ভাষ্য যেন এক নতুন যাত্রার সূচনা। চিকিৎসা শেষে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করে তিনি যে আবার দেশের পথে, সেটাই প্রমাণ করে— তিনি এখনো হার মানেননি, তিনি এখনো দেশের রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।
খালেদা জিয়ার বক্তব্য ছিল ব্যক্তিগত, আবেগময়, আবার একই সঙ্গে ছিল রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত পরিণত ও সময়োপযোগী। এমন সময়, যখন রাজনীতির মঞ্চে বিশ্বাসের সংকট প্রকট, তখন এক অভিজ্ঞ নেত্রীর এই প্রত্যাবর্তন নতুন আশার আলো জাগায়। অনেকের কাছে তিনি শুধুই একজন রাজনীতিবিদ নন— তিনি স্মৃতির অংশ, সংগ্রামের অংশ, দেশের রাজনীতির জীবন্ত অধ্যায়।
লেখক: মো. জুবাইর, সাংবাদিক