ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

আ.লীগ নেতার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার ১

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
আ.লীগ নেতার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার ১

কুমিল্লা: কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিনের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দাউদকান্দি উপজেলার সম্বুরদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় রোববার (২৯ জানুয়ারি) আট জনের ও অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ সভাপতি সোহল রানা।

সোহল রানা ও স্থানীয় একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দাউদকান্দির দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মঈন চৌধুরীর সমর্থকদের সঙ্গে কিছু নেতাকর্মীদের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এ সময় মনোনয়ন বাণিজ্যেরও অভিযোগ ওঠে। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দাউদকান্দি উপজেলার রফারদিয়ায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যান রুহুল আমিন। বিকেলে সেখান থেকে ফেরার পথে ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকরা তার ওপর হামলা করে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান হাবিব লিল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন সিকদার প্রমুখ।  

সোহল রানার দাবি হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে তিনি আহত হয়েছেন। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বশির উল্লাহ মিয়াজীকে খুঁজতে কিছুলোক গাড়িতে হামলা করে।

গুঞ্জন রয়েছে, ইউপি চেয়ারম্যান মঈন চৌধুরীর কাছ থেকে সুবিধা নিলেও তার পক্ষে ছিলেন না বশির উল্লাহ মিয়াজী।

অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মঈন চৌধুরী বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কিছু বিষয় নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়, এটা সঠিক। তবে শনিবারের ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না, এলাকায়ও ছিলাম না। আমি শুনেছি ঘটনার এক ঘণ্টা পর। এ ঘটনার জন্য আমি অনুতপ্ত।

হামলার বিষয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন জানান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বশিরকে খুঁজতে স্থানীয় কয়েকজন আমাদের ধাওয়া করে। কিছু বুঝে ওঠার আগে আমার গাড়িতে হামলা চালায়।  

মনোনয়ন বাণিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করেন রুহুল আমিন।
 
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বশির উল্লাহ মিয়াজী বলেন, আমি ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে যাইনি। ঢাকায় কাজে ছিলাম। আমার ধারণা সভাপতি রুহুল আমিনের গাড়িতে হামলা করেছেন মঈন চৌধুরীর লোকজন। মঈন চৌধুরী ইউনিয়ন পরিষদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছেন। আমি ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছি। এটাই আমার অপরাধ?

মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে বশির বলেন, মঈন চৌধুরী নৌকার মনোনয়ন চাননি। তাহলে মনোনয়ন বাণিজ্য কীভাবে করব?

দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর ভূঞা বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলা  ইয়াকুব নামে একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।