ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সাংবাদিক নাদিম হত্যা: বাবুসহ আ. লীগের ৬ নেতাকর্মী সাময়িক বহিষ্কার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০২ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২৩
সাংবাদিক নাদিম হত্যা: বাবুসহ আ. লীগের ৬ নেতাকর্মী সাময়িক বহিষ্কার

জামালপুর থেকে: বাংলানিউজের সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৬ নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৭ জুন) রাতে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক মোশারফ হোসেন মিরাজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন- সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবু, বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এম ডি রাকিবিল্লাহ রাকিব, বাবুর ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফাহিম ফয়সাল রিফাত, উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি মো. শহিদুর রহমান লিপন, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম এবং বকশীগঞ্জ পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের তথ্য ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মো. মিলন চৌধুরী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বাংলানিউজের সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে সিসিটিভি ফুটেজ, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও মামলার এজাহারে যাদের নাম জোরালোভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে, তাদের স্ব স্ব সংগঠন সাময়িক বহিষ্কার করেছে। এছাড়াও কেনো তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, সে বিষয়ে স্ব শরীরে উপস্থিত হয়ে ৭ দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বকশিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক মোশারফ হোসেন মিরাজ বাংলানিউজকে বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে দুইজন ও বাকি অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জোরালোভাবে সম্পৃক্ত ছিল, তা আমরা জানতে পেরেছি। তাই তাদের সাময়িক বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কী কারণে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।  এসব বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কাছে তথ্য দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন রাতে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাথাটিয়ায় পৌঁছালে অস্ত্রধারী ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত সাংবাদিক নাদিমকে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর রাত ১২টায় সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুলকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা, ১৮ জুন, ২০২৩
এনবি/এসএফ/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।