ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আমেরিকার প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না: মেয়র লিটন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২৩
আমেরিকার প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না: মেয়র লিটন 

সিরাজগঞ্জ: আমেরিকার প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন মেয়র এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।  

তিনি বলেন, আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আজকে প্রেসক্রিপশন লেখে, তাদের প্রেসক্রিপশনে আমাদের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে, না হলে তাদের আপত্তি রয়েছে।

নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ, স্বচ্ছ মানে কী? বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে দিতে হবে। তাহলে নির্বাচন হবে স্বচ্ছ, না হলে হবে না। আমেরিকার প্রেসক্রিপশনে দেশ স্বাধীন হয়নি। তাই তাদের প্রেসক্রিপশনে আমরা চলবো না।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক ও স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

মেয়র লিটন বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সব কলকাঠি নেড়েছিল। পেছনে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যারা জাতির পিতাকে হত্যার জন্য তাদের তৎকালীন রাষ্ট্রদূতকে দিয়ে মেজর ডালিম ও রশিদকে ডেকে নিয়ে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছিল। অর্থাৎ তোমরা হত্যা করতে পারো, আমরা তোমাদের পেছনে আছি।

আমেরিকাকে উদ্দেশ্যে করে তিনি আরও বলেন, তারা ৭ম নৌবহর পাঠিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছিল। ইন্দিরা গান্ধীর কারণে রাশিয়া যদি তার নৌবহর না পাঠাতো তাহলে মুক্তিযুদ্ধের পরিণতি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত হতে পারতো। এফবিআই ও পুলিশ দিয়ে আমেরিকায় বিনা ওয়ারেন্টে মানুষকে হত্যা করে। আর তারাই আমাদের র‌্যাব-পুলিশকে দায়ী করে বিনা বিচারের হত্যার জন্য।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জিয়াউর রহমানের অপশাসনের প্রথম ধাপ ছিল, খুনিদের দায়মুক্তি দেওয়া অর্থাৎ জাতির পিতার হত্যার বিচার করা যাবে না। খুনিরা হত্যা করার পরপরই এ দেশ থেকে চলে যায়। জিয়াউর রহমান স্বেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ দিয়ে পুনর্বাসিত করেছেন।

তারা আজ গণতন্ত্রের কথা বলে। জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার পরে তারা ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের একটি অংশ হিসেবে আবার ঘোষণা দিতে চেয়েছিল। আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলার অপরাধে তখন নির্যাতন করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান যিনি হ্যাঁ-না ভোটের প্রবর্তক। তার পুলিশ বাহিনী দিয়ে হ্যাঁ বাক্সে ভোট নিয়েছে। কেউ না বাক্সে ভোট দিতে পারে না।

বিএনপির উদ্দেশ্যে রাজশাহী সিটির মেয়র বলেন, আজ আমাদের ভয় দেখায়, তাদের প্রেসক্রিপশন না শুনলে নির্বাচন হতে দেবে না। তারা সেপ্টেম্বরে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে উৎখাত করতে চায়। আমরাও প্রস্তুত আছি। এই দেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ বাঁশের লাঠি নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন, মা তার সন্তানকে মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়েছেন। বলেছেন দেশের জন্য তোকে কোরবানি দিলাম। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নাই।

তিনি বলেন, মাঝখানে বেশ কিছু মানুষ এই এলাকায় জগদ্দল পাথরের মতো ছিলেন, মন্ত্রী-এমপি ছিলেন তারা সিরাজগঞ্জকে ধোঁকা দিয়েছেন। দীর্ঘদিন সিরাজগঞ্জ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশের মতো সিরাজগঞ্জেও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসানের সভাপতিত্বে শোক ও স্মরণ সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা এমপি, অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি, তানভীর শাকিল জয় এমপি, ডা. আব্দুল আজিজ এমপি, পৌর আ.লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও সদর থানা আ.লীগের সভাপতি অ্যাড. আব্দুল হাকিম। সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।