ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কমিশন হলে বিএনপির প্রতিষ্ঠা অবৈধ প্রমাণিত হবে: শেখ পরশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২৩
কমিশন হলে বিএনপির প্রতিষ্ঠা অবৈধ প্রমাণিত হবে: শেখ পরশ

ঢাকা: স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন হলে বিএনপির প্রতিষ্ঠা ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান উভয়ই অবৈধ প্রমাণিত হবে এবং কমিশনের প্রতিবেদন দলটি নিষিদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এমনটি বলেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

 

মঙ্গলবার( ৭ নভেম্বর) জাতীয় জাদুঘরের সামনে আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে “মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস” স্মরণে সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে শেখ ফজলে শামস্ পরশ এসব কথা বলেন।

পরশ বলেন, ৭ নভেম্বরকে বিএনপি “বিপ্লব ও সংহতি” দিবস বলে। কিন্তু আমরা যারা সরল সমীকরণ বুঝি, আমাদের সীমিত জ্ঞানে একটি বিষয় পরিষ্কার, ৭ নভেম্বর বিপ্লবের অন্তরালে বহু মুক্তিযোদ্ধা নিধন করা হয়েছিল। ৭

তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যার কলঙ্কিত ষড়যন্ত্রের দিন, বিশ্বাসঘাতকতার দিন, পাকিস্তানি ভাবাদর্শের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টার দিন। এ দিনকে “বিপ্লব” বলা আসলে জাতির সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়।  

তিনি আরও বলেন, সেদিন কোনো বিপ্লব হয়নি, আর জনগণের সংহতির তো প্রশ্নই নেই। প্রকৃতপক্ষে ১৯৭৫ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হায়দারসহ বহু সৈনিক ও অফিসারকে হত্যা করা হয়।  

পরশ বলেন, বহু সৈনিক ও অফিসারদের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে এইদিন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান। পরে এ হত্যার রাজনীতির মধ্য দিয়েই বিএনপি নামে দলটির সৃষ্টি হয়।

তিনি বলেন, ১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠার সময়ও তিনি ছিলেন সেনাপ্রধান। নির্বাচন কিংবা দল গঠন সবই ছিল সম্পূর্ণ বেআইনি, যা রাষ্ট্রদ্রোহেরও শামিল। এ কারণে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার ও জাতীয় তদন্ত কমিশনের দাবি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক দাবি।  

তিনি আরও বলেন, তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে প্রমাণিত হবে যে সংগঠন হিসেবে বিএনপির প্রতিষ্ঠা এবং প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে জিয়াউর রহমান উভয়ই অবৈধ এবং প্রতিবেদনই বিএনপির নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধ করার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।  

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ৭ নভেম্বরের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এই ঘটনায় লাভবান হয়েছে শুধু জিয়াউর  রহমান ও উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। আর পরাজিত হয়েছিল বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।  

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, সঞ্চালনা করেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২৩
এসকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।