ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুন, বিএনপিকে সেলিম ওসমান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুন, বিএনপিকে সেলিম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন,  আপনারা ভেবেছিলেন ২৮ অক্টোবরের পর ধানের শীষ নিয়ে বাংলাদেশ দখল করে ফেলবেন। বিএনপির ভাইদের প্রতি হাতজোড় করে বলছি।

ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুন। আমরা তিনটি দল মিলে সব মানুষকে নিয়ে সদর বন্দর আসনের উন্নয়ন করবো।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বন্দরের মুছাপুরে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা কখনও দল হিসেবে চিন্তা করিনি। আমি আসার পর তিনটি দল বিএনপি আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি একই মঞ্চে কাজ করেছি। ইদানীং আমার বিএনপির ভাইয়েরা আসছেন না। তারা হুমকি দিচ্ছেন ভোট দিতে যেতে দেবেন না। রেললাইন উপড়ে ফেলে দিচ্ছেন। মা-বাচ্চাকে একসঙ্গে জ্বালিয়ে দিচ্ছেন। আপনারা কে, আমরা একসময় এসব কাজ করেছি। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে অনেক কিছু করেছি। আজ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এগুলো করতে চান।

আজ লজ্জা লাগল মাকসুদ যখন বলল সব কাজ হয়ে গেছে শুধু এ পুকুরটা ভরতে হবে। এটি একটি সাধারণ কাজ। এখানে কয়েকশ কোটি টাকা বরাদ্দ করা আছে। লাঙ্গলবন্দ স্নান হবে মানুষের উৎসব করার জায়গা। এটা শুধু হিন্দুদের জন্য নয়, পর্যটন কেন্দ্র করার ইচ্ছা আছে। দুই বছর পর এমন লাঙ্গলবন্দ থাকবে না।

আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। গত পনেরো বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে তা কী আমরা স্বপ্নে দেখেছিলাম। কয়টা উন্নয়নের কথা বলব। পনেরো বছর যে উন্নয়ন হয়েছে আগামী পাঁচ বছর তার তিনগুণ উন্নয়ন হবে। না হলে আমার নাম সেলিম ওসমান রাখবো না।

করোনার সময় আমরা চেষ্টা করেছি। করেনায় হয়ত কেউ কেউ মারা গেছে তবে না খেয়ে কেউ মারা যায়নি। অনেক বড় দেশে ফ্রি ভ্যাকসিন দেয়নি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে ফ্রি ভ্যাক্সিন দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আপনারা দোয়া করবেন। হালাল আয় করবো নিজে খাবো মানুষের জন্য খরচ করবো। বন্দরে এখন বড় স্কুল কলেজ ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ার কথা আছে। এখানে দুটি স্টেডিয়াম হবে। বিশাল মসজিদ হবে। সেটাও আমাদের পাওনা আছে। আমরা ভোট কেন দেব, নিজের স্বার্থে। আমি দোষ করলে আমার বিরুদ্ধে যে আছে তাকে ভোট দেবেন। মনে রাখবেন দেশ বিপর্যস্ত, আপনি গিয়ে যদি ব্যালট পেপারে একটা সিল মারেন বাংলাদেশে আর অভাব থাকবে না। সাত তারিখ সকাল সকাল ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
এমআরপি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।