ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘গুজব ছড়াতে সাত মিলিয়ন ডলার দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৪
‘গুজব ছড়াতে সাত মিলিয়ন ডলার দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে’

ঢাকা: নির্বাচনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও গুজব ছড়াতে সাত মিলিয়ন ডলার দিয়ে কিছু লবিস্ট ফার্মকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সঙ্গে আলাপকালে এমন তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কংগ্রেসম্যান জিম বেটস।

বৈঠক শেষে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কংগ্রেসম্যান জিম বেটস আজ আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে তাদের মতামত দিয়েছেন। তারা বলেছেন, এখানে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, কোথাও কোনো রকম গোলযোগ কিংবা হিংসাত্মক কার্যক্রম হয়নি।

তিনি বলেন, ভোটের শতাংশ নিয়ে তাদের অভিমত হলো, ই-ভোটও পোস্টাল ভোট এবং সরাসরি গিয়ে ভোট দেওয়ার কার্যক্রম, সবমিলিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় অন্তত একমাস সময় লাগে। আট ঘণ্টার মধ্যে এত লোকের ভোট দেওয়াকে অনেক বেশি প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন তারা।

ইতোমধ্যে পর্যবেক্ষকরা সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন। আজ আপনার সঙ্গে দেখা করার কারণ কী ছিল? মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এবারের ভোট অংশগ্রহণমূলক হয়নি—এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, অংশগ্রহণমূলকের ব্যাপারে তারা (পর্যবেক্ষকরা) কথা বলেননি। তারা বলেছেন যে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। তবে তারা মনে করেন, কিছু লবিস্ট ফার্মকে নিয়োগ করা হয়েছে সাত মিলিয়ন ডলার দিয়ে। সেগুলো দিয়ে প্রপাগান্ডা প্রচারের চেষ্টা করা হচ্ছে।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, তাদের ধারণা, বাংলাদেশে এরইমধ্যে যে অভূতপূর্ব পরিবর্তন হয়েছে, সেটাকে তারা সমর্থন করেন। এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে, আগে মানুষ অনেক বেশি দুর্ভোগে ছিল। কিন্তু এখন সেটার পরিবর্তন হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা।

সাত মিলিয়ন ডলার দিয়ে কারা লবিস্ট নিয়োগ করেছেন, সেই কথা কী তারা বলেছেন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এটা সুনির্দিষ্টভাবে তারা বলেননি। আমিও জিজ্ঞাসা করিনি।

নির্বাচনবিরোধী প্রচারণার জন্য এই অর্থ খরচ হয়েছে কি না জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন, হ্যাঁ, নির্বাচনবিরোধী প্রপাগান্ডা। একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য সাত মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রশ্ন করিনি। তারা বলেছেন, বিরূপ প্রভাব তৈরি করা হচ্ছে। অর্থাৎ ভিন্নধর্মী কিছু কথাবার্তা প্রচার হচ্ছে। তাদের কাছে তথ্য আছে, কিছু লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে এগুলো করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২৪
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।