ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সংবিধানকে আরেকবার জবাই করেছে আ. লীগ: জয়নুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪
সংবিধানকে আরেকবার জবাই করেছে আ. লীগ: জয়নুল

ঢাকা: আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেছেন, আপনারা যে সংবিধানের দোহাই দেন সেই সংবিধানকে আপনারা টুকরো টুকরো করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য ১৭৪ দিন হরতাল করেছেন।

সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে জবাই দিয়েছেন আপনারা। ৭ তারিখের নির্বাচনে সংবিধানকে আরেকবার জবাই করেছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এমপি এখন ৬০০ জন। ২৯ তারিখ পর্যন্ত আগের সংসদ বহাল থাকবে। সেই সংসদ সদস্যরা এখনো বহাল। আবার নতুন এমপিদের শপথ করালেন। কোন আইনে কোন সংবিধানে এদের শপথ করালেন? সংবিধান আপনারা মানেন না, সংবিধানের কথা বলে বাংলাদেশের মানুষকে আর অপমান করবেন না।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন জয়নুল আবদীন ফারুক।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগে এদেশে অগ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। যে নির্বাচনে জনগণের উপস্থিতি শূন্যতায় ছিল। অনেকেই বলে আমাদের আন্দোলন সফল হয়নি। আমাদের আন্দোলন সফল হয়েছে, দেশের জনগণের আন্দোলন সফল হয়েছে। আমরা হরতাল অবরোধের ডাক দিয়েছিলাম কিন্তু আওয়ামী লীগ বাস পুড়িয়ে রেললাইন উপড়িয়ে ফেলেছে এবং রেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে ৭ তারিখের নির্বাচন করেছে। সেই নির্বাচনে দেশের জনগণ ভোট দিতে যায়নি, তারা সেই নির্বাচন গ্রহণ করেনি।

জয়নুল আবদীন আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছে। অথচ তারা নিজেরাই দাবি করে তারা স্বাধীনতার পক্ষের লোক। তারা স্বাধীনতার পক্ষের লোক হলে বাংলাদেশের এ করুণ অবস্থা কেন? কেন মৃত ব্যক্তিকে ভোট দিতে হয়? কেন দিনের ভোট রাতে হয়? কেন ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়?

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ইতিহাসে লেখা আছে কোনো স্বৈরাচার চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না। গণতন্ত্রকামী আন্দোলনে সাময়িক সমস্যা হতে পারে, তবে আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। কারণ যারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না, সাংবাদিকদের লেখার স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না তাদের জনগণও বিশ্বাস করে না।  

গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএফজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনির, মৎস‌্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম মিয়া, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বিপ্লব, গণতন্ত্র ফোরামের সমন্বয়কারী ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কৃষক দলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কাদের সিদ্দিকী, আব্দুল্লাহ আল নাঈম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪
টিএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।