ঢাকা, শনিবার, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ শাবান ১৪৪৬

রাজনীতি

আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের নিবন্ধন বাতিল চান নুর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫
আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের নিবন্ধন বাতিল চান নুর বৃহস্পতিবার ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর

ঢাকা: আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা (১৪ দলীয় জোট) যেন নির্বাচনে অংশ নিতে পারে সেজন্য তাদের নিবন্ধন বাতিল চান গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তবে এজন্য সরকারকে আগে দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার জন্য বলেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, নামসর্বস্ব পার্টি যারা নিবন্ধন নিয়েছে এবং আনুপাতিকভাবে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সেখানে কিন্তু সব দলের মার্কা থাকবে। নির্বাচন কমিশনের যে শর্ত আছে ১০০ উপজেলা এবং এক তৃতীয়াংশ জেলায় অফিস ও কমিটি থাকতে হবে। এটা যে রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিপালন করছে না, তাদের নিবন্ধন স্থগিত করা উচিত। এতে নামসর্বস্ব বা কিংস পার্টির নিবন্ধন কিন্তু বাতিল হয়ে যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না সেই সিদ্ধান্ত অবশ্যই নির্বাচন কমিশন একা নিতে পারবে না। এজন্য রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি হতে হবে। সরকারেরও এখানে ভূমিকা নিতে হবে। ইতোমধ্যে সেই ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে গত মিটিংয়েও রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হয়েছে যে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা যেন নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। সেজন্য তাদের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারে কমিশন। এছাড়া ভূঁইফোড় ও কিংস পার্টির হালনাগাদ তথ্য নিয়ে নিবন্ধন স্থগিত তারা করতে পারে।

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের সিদ্ধান্ত হলো আগামী নির্বাচনে আমরা দলীয় মার্কায় অংশ নেব। একটা আলোচনা হচ্ছে সমমনা দল আমাদের নেতৃত্বে কাজ করবে। আগামীতে তাদের নিয়ে একটা জোট হতে পারে। আমরা কারো নেতৃত্বে কোনো জোটে যাচ্ছি না এটা পরিষ্কার। ছাত্ররা নতুন দল করছে। তাদের আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে তাদের সঙ্গে দল করা, তাদের সঙ্গে জোট করা এই সমস্ত আলোচনা নেই। কারণ, তারা এখনো দলই গঠন করে নাই।

তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচন কমিশন একটা উদাহরণ হবে। এজন্য দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে বলেছি। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার কথা বলেছি। এছাড়া যেহেতু একটা রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি হয়েছে এবং এটা এখন পপুলার ডিমান্ড তৈরি হয়েছে যে ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগ এবং দোসরদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। তাহলে তো নিবন্ধন অটোবাতিল হবে অবশ্যই। ইসি পরিষ্কারভাবে বলেছে যে, কোনোভাবেই রাজনৈতিক চাপে কিংবা দল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চান না। যেহেতু নিবন্ধন বাতিল করার আইন আছে, অনেক প্রক্রিয়া আছে, সরকার নির্বাহী আদেশে করতে পারে যেমন বিগত সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল। আমাদের কাছে এই বিষয়ে মনে হয়েছে যে, নির্বাচন কমিশনের চেয়ে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

তিনি বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত ও রাজনৈতিক ঐকমত্য দুটোই হয়েছে আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের নিষিদ্ধের প্রশ্নে। তবে ইসির প্রতি আমরা জোর দিয়েছি তারা যেন অন্তত কিংস পার্টিগুলোর নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল করে।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সব নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫
ইইউডি/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।